National

৮ মাসে সর্বনিম্ন একদিনের সংক্রমণ, মৃত্যু নামল ১০০-র নিচে

দেশে এখন সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশ পার করেছে। ক্রমশ নিম্নমুখী সংক্রমণ ও মৃত্যু। এদিন গত ৮ মাসে সবচেয়ে নিচে নামল একদিনে সংক্রমণ।

নয়াদিল্লি : জানুয়ারি মাস জুড়েই দেশে দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের নিচে ঘুরপাক খেয়েছে। ১০ হাজারি ঘরে ২ বার পৌঁছলেও তা ধরে রাখতে পারেনি দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। তবে জানুয়ারির একটা অংশ জুড়ে ১৫ হাজারের নিচে ঘুরেছে সংক্রমণ। এখন বেশ কিছুদিন ধরেই ১৫ হাজারের নিচে ঘুরপাক খাওয়া সংক্রমণ সংখ্যা ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় দিনেই ১০ হাজারের চেয়েও কিছুটা নিচে নেমে গেল।

এদিন একদিনে যে সংখ্যক সংক্রমিত দেশে ধরা পড়েছে তা গত ৮ মাসে দেখা যায়নি। একদিনে সংক্রমিত হলেন ৮ হাজার ৬৩৫ জন। দেশে ৬ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪২২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে নমুনা পরীক্ষা।


রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিন সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। ফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৫৩ জনে। একদিনে কমেছে ৪ হাজার ৮৮২ জন। করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৫২ শতাংশে।

নতুন বছরে ২০০-র ঘরেই ছিল দেশে দৈনিক করোনায় মৃত্যু। দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যা এখন ২০০-র নিচেই থাকছিল। এদিন তা ১০০-র নিচে নেমে গেল। যা বিগত ৮-৯ মাসে দেখা যায়নি।


এদিন মৃত্যু হয়েছে ৯৪ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪৮৬ জন। ১.৪৩ শতাংশে এদিন নেমেছে মৃত্যুর হার।

এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। তামিলনাড়ুতে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।

করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ হাজার ৪২৩ জন।

যার হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪০৬ জন। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনেই সুস্থতার হার পৌঁছে গিয়েছিল ৯৭ শতাংশে। এদিন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.০৫ শতাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button