দেশে একদিনে ১০০-র নিচেই রইল মৃত্যু
দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে। গত একদিনে দেশে ৮৪ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এদিন ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে।
নয়াদিল্লি : জানুয়ারি মাস জুড়েই দেশে দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের নিচে ঘুরপাক খেয়েছে। ১০ হাজারি ঘরে ২ বার পৌঁছলেও তা ধরে রাখতে পারেনি দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। তবে জানুয়ারির একটা অংশ জুড়ে ১৫ হাজারের নিচে ঘুরেছে সংক্রমণ।
সেই ১৫ হাজারের নিচে ঘুরপাক খাওয়া সংক্রমণের সংখ্যা ফেব্রুয়ারিতেও একই ধারার বজায় রেখেছে। গত একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৩১ জন। এদিন দেশে ৫ লক্ষ ৩২ হাজার ২৩৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এদিন ১ কোটি ৮ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশিই থাকছে। আগের দিন তার ব্যতিক্রম হয়েছিল। তবে তা একদিনের জন্যই।
এদিন ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে। দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬০৯ জনে।
একদিনে কমেছে ১৫৭ জন। করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার গত দিনের সঙ্গে একই জায়গায় রয়ে গেছে। রয়েছে ১.৩৭ শতাংশে।
নতুন বছরে ২০০-র ঘরেই ছিল দেশে দৈনিক করোনায় মৃত্যু। দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০-র নিচেই থাকছিল। তবে ফেব্রুয়ারিতে ৮ দিনের মধ্যে ৪ দিনই তা ১০০-র নিচে রইল।
এদিন মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮০টি। ১.৪৩ শতাংশে রয়েছে মৃত্যুর হার।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। ছত্তিসগড়ে ৬ জনের। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। দেশজুড়ে ৮৪ জন মৃতের মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্র ও কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ হাজার ৯০৪ জন।
এর হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫০৫ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.২০ শতাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা