দেশে মৃত্যু বেড়ে ১০০-র ওপর, কমল সুস্থতার হার
ফেব্রুয়ারিতে পড়ে পর্যন্ত অধিকাংশ দিনই ১০০-র নিচে ছিল দৈনিক মৃত্যু। কিন্তু ফের তা ১০০-র ওপর গেল। দেশে একদিনে মৃত্যু হল ১০৮ জনের।
নয়াদিল্লি : জানুয়ারি মাস জুড়েই দেশে দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের নিচে ঘুরপাক খেয়েছে। ১০ হাজারি ঘরে ২ বার পৌঁছলেও তা ধরে রাখতে পারেনি দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। তবে জানুয়ারির একটা অংশ জুড়ে ১৫ হাজারের নিচে ঘুরেছে সংক্রমণ। সেই ১৫ হাজারের নিচে ঘুরপাক খাওয়া সংক্রমণের সংখ্যা ফেব্রুয়ারিতেও একই ধারা বজায় রেখেছে।
২ দিন তা ১০ হাজারের নিচে নামলেও এদিন তা বেড়ে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৯২৩ জন। এদিন দেশে ৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৮৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে কমেছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এদিন ১ কোটি ৮ লক্ষ ৭১ হাজার ২৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা এদিন কিন্তু সংক্রমিতের চেয়ে কম হয়েছে। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।
দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৫৬২ জনে। একদিনে বেড়েছে ১ হাজার ৫১ জন। করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার রয়েছে ১.৩১ শতাংশে।
নতুন বছরে ২০০-র ঘরেই ছিল দেশে দৈনিক করোনায় মৃত্যু। দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০-র নিচেই থাকছিল। ফেব্রুয়ারিতে গত ১০ দিনের মধ্যে ৬ দিনই তা ১০০-র নিচে ছিল। ফলে প্রাত্যহিকভাবে ১০০-র নিচেই থাকছিল মৃত্যু। এদিন অবশ্য সেই ধরা বজায় থাকেনি।
এদিন মৃত্যু ১০০ পার করেছে। মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৬০টি। ১.৪৩ শতাংশে রয়েছে মৃত্যুর হার।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে কিছুটা পিছনে চলে গেছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে মৃত্যু গত দিন ৫ জন হওয়ার সুবাদেই এটা সম্ভব হয়েছে।
গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। পঞ্জাবে ১৪ জনের। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ হাজার ৭৬৪ জন।
এর হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩৭২ জন। সুস্থতার হার সামান্য কমেছে। ৯৭.২৭ শতাংশ থেকে নেমে হয়েছে ৯৭.২৬ শতাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা