দেশে বাড়ল সংক্রমণ, বাড়ল অ্যাকটিভ রোগীও
ভারতে কিন্তু ফের সংক্রমণের একটা উর্ধ্বমুখী প্রবণতা নজর কাড়ছে। এদিন কিছুটা বেড়েছে সংক্রমণ। তাল মিলিয়ে বেড়েছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও।
নয়াদিল্লি : ফেব্রুয়ারিতে মূলত দেশে দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজারের নিচে ঘুরপাক খেয়েছে। ১০ হাজারি ঘরে ২ বার পৌঁছলেও তা ধরে রাখতে পারেনি দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। বরং এখন সংক্রমণের ফের একটা উর্ধ্বমুখী প্রবণতা নজর কাড়ছে।
এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৯৩ জন। অবশ্যই মহারাষ্ট্র ও কেরালায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া এর একটা বড় কারণ। এদিন দেশে ৭ লক্ষ ৭১ হাজার ৭১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ৯ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা এদিন কিন্তু সংক্রমিতের চেয়ে কম হয়েছে। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা আবার বেড়েছে।
দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৪২ জনে। একদিনে বেড়েছে ২ হাজার ২০০ জন। গত ২ মাসে যেমন টানা কমেছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা, তা কিন্তু এখন নেই।
এখন সেই ধারাবাহিকতায় প্রায়ই ছেদ পড়ছে। এদিকে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার ফের বেড়েছে। ১.২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১.২৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার।
নতুন বছরের শুরুতে ২০০-র ঘরেই ছিল দেশে দৈনিক করোনায় মৃত্যু। পরে দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০-র নিচেই থাকছিল। ফেব্রুয়ারির বেশিরভাগ দিন ১০০-র নিচেই থেকেছে মৃতের সংখ্যা।
এদিনও মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১১১টি। মৃত্যু হার ১.৪২ শতাংশে রয়েছে।
গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে কিছুটা পিছনে চলে গেছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে গত দিন ২ জনের মৃত্যু হওয়ার সুবাদেই এটা সম্ভব হয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। পঞ্জাবে ১০ জনের।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৮৯৬ জন।
এর হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৪৫ জন। সুস্থতার হার এদিন ফের কমেছে। ৯৭.৩২ শতাংশ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৩০ শতাংশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা