দেশে ফের বাড়ল সংক্রমণ, বাড়ল মৃত্যুও
দেশে একদিন একটু কমে তো ৩ দিন চড়ে দৈনিক সংক্রমণ। এদিন ফের বাড়ল সংক্রমণ। মহারাষ্ট্র ও কেরালায় সংক্রমণ বৃদ্ধি এর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি : ফেব্রুয়ারিতে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজারের নিচে ঘুরপাক খেয়েছে। ১০ হাজারি ঘরে আগে ৩ বার পৌঁছলেও তা ধরে রাখতে পারেনি দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। বরং এখন সংক্রমণের ফের একটা উর্ধ্বমুখী প্রবণতা নজর কাড়ছে।
এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৪২ জন। মহারাষ্ট্র ও কেরালায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকায় সেখানে লকডাউনের ভ্রুকুটি তৈরি হয়েছে। বেঙ্গালুরু পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে বাসিন্দারা করোনা বিধি না মানতে থাকলে সেখানেও লকডাউন করা হবে। এদিন দেশে ৮ লক্ষ ৫ হাজার ৮৪৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে নমুনা পরীক্ষা প্রায় ২ লক্ষ বেড়েছে।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লক্ষ ৩০ হাজার ১৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা এদিন কিন্তু সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে।
দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে এদিন দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯০৭ জনে। একদিনে কমেছে ৩৯৯ জন। এদিকে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমায় অ্যাকটিভ রোগীর শতাংশের হারও ফের কমেছে। ১.৩৪ শতাংশ থেকে কমে ১.৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার।
নতুন বছরের শুরুতে ২০০-র ঘরেই ছিল দেশে দৈনিক করোনায় মৃত্যু। পরে দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০-র নিচেই থাকছিল। ফেব্রুয়ারির বেশিরভাগ দিন ১০০-র নিচেই থেকেছে মৃতের সংখ্যা। কোনও দিন ১০০-র বেশি তো কোনও দিন কম হচ্ছে এখন দৈনিক মৃতের সংখ্যা।
এদিন মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫৬৭টি। মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশে রয়েছে।
গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে কিছুটা পিছনে চলে গেছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে গত দিন ২ জনের মৃত্যু হওয়ার সুবাদেই এটা সম্ভব হয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ হাজার ৩৭ জন।
এর হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭ লক্ষ ২৬ হাজার ৭০২ জন। সুস্থতার হার এদিন বেড়েছে। ৯৭.২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.২৫ শতাংশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা