দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে
দেশে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের। মহারাষ্ট্র ও কেরালার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।
নয়াদিল্লি : ফেব্রুয়ারিতে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজারের নিচে ঘুরপাক খেয়েছে। ১০ হাজারি ঘরে আগে ৩ বার পৌঁছলেও তা ধরে রাখতে পারেনি দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। তবে ১৫ হাজার পার করেনি। আগের দিন সেটা করে। এদিনও তাই।
এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭৭ জন। মহারাষ্ট্র ও কেরালায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকায় সেখানে লকডাউনের ভ্রুকুটি তৈরি হয়েছে। এদিন দেশে ৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৮০৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা এদিন কিন্তু সংক্রমিতের চেয়ে কম হয়েছে। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে এদিন দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৮৬ জনে। একদিনে বেড়েছে ৪ হাজার ২৭৮ জন। এদিকে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় অ্যাকটিভ রোগীর শতাংশের হারও ফের বেড়েছে। ১.৩৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১.৪১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার।
নতুন বছরের শুরুতে ২০০-র ঘরেই ছিল দেশে দৈনিক করোনায় মৃত্যু। পরে দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০-র নিচেই থাকছিল। ফেব্রুয়ারির বেশিরভাগ দিন ১০০-র নিচেই থেকেছে মৃতের সংখ্যা। কোনও দিন ১০০-র বেশি তো কোনও দিন কম হচ্ছে এখন দৈনিক মৃতের সংখ্যা।
এখন কিন্তু মাসের শেষে পৌঁছে মৃত্যু বাড়ছে। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮২৫টি। মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশে রয়েছে।
গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে কিছুটা পিছনে চলে গেছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে গত দিন ৩ জনের মৃত্যু হওয়ার সুবাদেই এটা সম্ভব হয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ১৭৯ জন।
এর হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৬৮০ জন। সুস্থতার হার এদিন কমেছে। ৯৭.২১ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭.১৭ শতাংশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা