দেশে ১ কোটি ১১ লক্ষ পার করল সংক্রমিতের সংখ্যা
মহারাষ্ট্র ও কেরালার হাত ধরে দেশে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে মৃত্যু এখনও একই জায়গায় ঘোরাফেরা করছে।
নয়াদিল্লি : ফেব্রুয়ারির শুরুতে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজারের নিচেই থেকেছে। কিন্তু মাসের শেষের দিকে পৌঁছে তা ফের বাড়তে থাকে। এখন তা ১৫ হাজারের ওপরই ঘোরাফেরা করছে। মার্চের শুরুতেও সেই ধারাই বজায় রইল।
এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫১০ জন। মহারাষ্ট্র ও কেরালায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকায় সেখানে লকডাউনের ভ্রুকুটি তৈরি হয়েছে। এদিন দেশে ৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লক্ষ ১২ হাজার ২৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা এদিন কিন্তু সংক্রমিতের চেয়ে কম হয়েছে। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে এদিন দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬২৭ জনে। একদিনে বেড়েছে ৪ হাজার ১১৬ জন। এদিকে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় অ্যাকটিভ রোগীর শতাংশের হারও ফের বেড়েছে। বেড়ে ১.৫২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার।
ফেব্রুয়ারির বেশিরভাগ দিন ১০০-র নিচেই থেকেছে মৃতের সংখ্যা। কোনও দিন ১০০-র বেশি তো কোনও দিন কম হচ্ছিল দৈনিক মৃতের সংখ্যা। বরং মাসের শেষের দিকে মৃতের সংখ্যা বেড়েছিল।
মার্চের শুরুতে মৃত্যু হয়েছে ১০৬ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৫৭টি। মৃত্যুর হার কমে ১.৪১ শতাংশ হয়েছে।
গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে কিছুটা পিছনে চলে গেছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে গত দিন ৩ জনের মৃত্যু হওয়ার সুবাদেই এটা সম্ভব হয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ২৮৮ জন।
এর হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫৭ জন। সুস্থতার হার এদিন কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭.০৭ শতাংশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা