চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, বাড়ছে অ্যাকটিভ রোগী
মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরালার হাত ধরে দেশে সংক্রমণ কিন্তু এখন উর্ধ্বমুখী। গত একদিনে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
নয়াদিল্লি : মার্চে পড়ার পর থেকেই দেশে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে সংক্রমণ সংখ্যা। বাড়তে বাড়তে এদিন একদিনে ২৬ হাজারি ঘর অতিক্রম করেছে সংক্রমণ। চলতি বছরে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ সংক্রমণ।
এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ২৬ হাজার ২৯১ জন। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরালা তো বটেই এখন কর্ণাটক, তামিলনাড়ুর মত রাজ্যেও বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকায় দেশে ক্রমশ অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
ফেব্রুয়ারিতেও যেখানে অ্যাকটিভ রোগী সংখ্যা কমতে কমতে ১ লক্ষের নিচে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেখানে এখন তা বাড়তে বাড়তে ২ লক্ষ পার করে বেড়ে চলেছে। এদিন দেশে ৭ লক্ষ ৩ হাজার ৭৭২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা এদিনও সংক্রমিতের চেয়ে কম হয়েছে। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
এদিন দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ১৯ হাজার ২৬২ জনে। একদিনে বেড়েছে ৮ হাজার ৭১৮ জন। এদিকে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় অ্যাকটিভ রোগীর শতাংশের হারও ফের বেড়েছে। বেড়ে ১.৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার।
ফেব্রুয়ারির বেশিরভাগ দিন ১০০-র নিচেই থেকেছে মৃতের সংখ্যা। কোনও দিন ১০০-র বেশি তো কোনও দিন কম হচ্ছিল দৈনিক মৃতের সংখ্যা। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের।
এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭২৫টি। মৃত্যুর হার ১.৩৯ শতাংশেই দাঁড়িয়েছে।
গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে একদিনে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে ৪ নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
রাজ্যে গত দিন ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। পঞ্জাবে ২০ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে তাল মিলিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ হাজার ৪৫৫ জন।
এর হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা এদিন ১ কোটি ১০ লক্ষ পার করেছে। দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৭ হাজার ৩৫২ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৬৮ শতাংশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা