বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ১০৭ বছরের ভারতীয়
করোনার প্রতিষেধক টিকা নেওয়া নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ রয়েছে। ইতস্তত করছেন। নেবেন কিনা ভেবে দেখছেন। এর মধ্যেই ১০৭ বছরের এক বৃদ্ধ করোনার প্রতিষেধক টিকা নিয়ে নজির গড়লেন।
নয়াদিল্লি : করোনা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে মৃত্যুভয় আসলে কতটা তীব্র। শুরুর দিকে একে আমল না দেওয়ায় বিপদ বেড়েছিল। হু হু করে ছড়াচ্ছিল সংক্রমণ। লকডাউন করে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ আটকানোর চেষ্টা হলেও সবার মধ্যে সচেতনতা বোধ পুরোপুরি জাগেনি।
এখন তো আবার রাস্তাঘাটে মানুষের মুখে মাস্কের দেখা পাওয়াই মুশকিল। করোনাকে হারাতে পারে সচেতনতা আর টিকা, এমনটাই বলে এসেছে চিকিৎসক মহল।
সচেতনতার অভাব যেমন অনেকের মধ্যে, তেমনই কাজ করছে টিকা না নেওয়ার ভীতিও। অতিমারি ছড়ানোর একবছরের মধ্যেই বাজারে অনেকগুলি সংস্থাই টিকা নিয়ে এসেছে। ভারতে ২টি টিকা মান্যতা পেয়েছে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাবে এই ভয়ে অনেকেই এড়িয়ে চলছেন টিকাগুলি। তবে এরই মধ্যে আমাদের দেশে নজির গড়লেন এক ১০৭ বছরের বৃদ্ধ। সারা বিশ্বে করোনার প্রতিষেধক টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ।
দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অশোক শেঠ-এর তত্ত্বাবধানে ১০৭ বছরের ওই বৃদ্ধ টিকা নিলেন। বছর ২ আগে হৃদযন্ত্রে একটি গুরুতর সার্জারি হয় তাঁর। এই সার্জারির ফলে তাঁর মস্তিষ্কের মারাত্মক স্ট্রোক এড়ানো গিয়েছিল।
চিকিৎসক অশোক শেঠ জানান, হৃদযন্ত্র থেকে রক্ত মস্তিষ্কে পৌঁছনোর জন্য যে প্রধান ধমনী রয়েছে তার ৯৫ শতাংশ বদ্ধ হয়ে আছে কেওয়ল কৃষ্ণনের শরীরে। এমন শারীরিক অবস্থাতেও করোনার টিকা নেওয়ার পর সুস্থই আছেন তিনি।
চিকিৎসকদের মতে একজন ১০৭ বছরের বৃদ্ধের করোনার প্রতিষেধক টিকা নেওয়ার ঘটনা শুধু বিশ্বে রেকর্ড তৈরি করেছে তাই নয়, কেওয়ল কৃষ্ণন ও তাঁর পরিবারের এই সিদ্ধান্ত বহু মানুষকে টিকা নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে। যাঁরা টিকা নিতে ইতস্তত করছেন তাঁরাও তা কাটিয়ে এগিয়ে আসবেন এমনটাই আশা চিকিৎসকদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা