খুনসুটি থেকে ভাইকে চড়, চরম পদক্ষেপ দিদির
ছোট ভাইয়ের সঙ্গে চলছিল খুনসুটি। এরমধ্যেই ভাইকে একটা চড় কষায় ১০ বছরের বালিকাটি। এই আপাত মামুলি ঘটনার পরদিন চরম পদক্ষেপ করল সে।
আগ্রা : ভাই-বোনে খুনসুটি, মারামারি প্রতি পরিবারের নিত্যদিনের ঘটনা। তা নিয়ে না তো ভাইবোনের চিন্তা করে, না তাদের অভিভাবকরা। মারামারি করলে বকাঝকাতেই মিটে যায় সবকিছু। তারপর সেসব ভুলে ফের হয় ঝগড়া, মারামারি। ফের বকা। আর এভাবেই কবে যেন সকলে বড় হয়ে যায়।
ভাইবোনদের মধ্যে খুনসুটি, ঝগড়াঝাঁটি এসব ভীষণ সাধারণ ঘটনা। খুব গুরুতর কোনও ব্যাপার না ঘটলে বাবামায়েরা আমলও দেন না। এমনকি ছোট ভাই বা বোনকে দু-এক ঘা দেওয়ার পর অনুশোচনাও হয় বড় ভাই বা বোনের।
তখন ভাই বা বোনকে আদর করে সবটা পুষিয়েও দেয় তারা। কিন্তু ৫ বছরের ছোট ভাইকে মারধর করার পর ১০ বছরের দিদির অপরাধবোধ ঠিক কতটা তীব্র হলে সে বেছে নেয় মৃত্যুর পথ?
এই প্রশ্নই উঠে এল ফতেহাবাদ তহসিলের অন্তর্গত প্রতাপপুর গ্রামে ছোট ভাইকে চড় মারার অনুশোচনায় এক বালিকার গলায় দড়ি দিয়ে নিজেকে শেষ করে করার ঘটনায়।
সম্প্রতি মাকে হারানো ওই ১০ বছরের বালিকা তার বড়দিদি ও ২ ছোট ভাইবোনের সাথে থাকত। তাদের বাবা অনেক বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। গ্রামের একটি জামা কাপড়ের দোকানে কাজ করে পুরো পরিবারের দায়িত্ব সামলায় মেয়েটির বড়দিদি।
বাড়িতে তখন দিদি ছিল না। ৫ বছরের ভাইয়ের সাথে কোনও কারণে ঝগড়া করে ওই বালিকা। রাগের বশে একটি চড় কষিয়ে দেয় ভাইয়ের গালে। তার পরদিন দিদির অনুপস্থিতিতে গলায় দড়ি দিয়ে নিজের জীবনটাই শেষ করে দেয় সে।
মনস্তত্ববিদদের মতে ভাইকে মারার দোষে দিদির কাছে মার খাওয়ার ভয়েও এমন ভয়ানক পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে ওই বালিকা। আবার গভীর অবসাদের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। তবে কারণ যাই হোক এমন ঘটনা খুবই বিরল বলেই মত মনোবিদদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা