রেকর্ড গড়ে এক হল চার হাত, সম্পূর্ণ হল সাতপাক
আয়োজন হয়েছিল গণবিবাহের। কিন্তু তা যে এমন বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণীর নতুন জীবন শুরুর পটভূমি হয়ে উঠবে তা অনেকের কাছেই কল্পনারও অতীত।
লখনউ : ফুল দিয়ে সাজানো বিশাল মণ্ডপ ঝলমলে আলোয় ভরে আছে। পায়ের নিচে লেপ্টে আছে লাল কার্পেট। চারিদিক গমগম করছে আত্মীয়স্বজনদের কণ্ঠস্বরে। তার মধ্যে উজ্জ্বল রঙিন পোশাক পরে, মাথায় লাল চেলি দিয়ে সুন্দর করে সেজে বরের অপেক্ষায় বসে আছেন বিয়ের কনে। এটা যেকোনও বিয়ে বাড়িরই চেনা ছবি।
সেই ছবি দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের লখনউতেও। তবে একই অনুষ্ঠানে বিয়ে হওয়া দম্পতির সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে। সংখ্যাটা এতটাই বিশাল যে উত্তরপ্রদেশের শ্রমমন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য বলেই ফেললেন এই গণবিবাহ রেকর্ড তৈরি করেছে। সাড়ে ৩ হাজার দম্পতির বিয়ে সম্পন্ন হল এই গণবিবাহের অনুষ্ঠানে। কনেরা প্রত্যেকেই শ্রমিক পরিবারের সদস্য।
অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারদের সাহায্যের জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের যে পরিকল্পনা, তারই অংশ হিসেবে এই গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। উজ্জ্বল রঙের পোশাকে সেজে বর-কনে বিয়ের আসনে বসে সমস্ত নিয়ম মেনে বিয়ে সম্পন্ন করলেন।
হিন্দু ও মুসলমান, ২ সম্প্রদায়েরই মানুষ এই বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন হলে তিনি দম্পতিদের হাতে তুলে দেন বিয়ের শংসাপত্র।
এই গণবিবাহের অনুষ্ঠান নিয়ে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী জানান এই গণবিবাহ পরিকল্পনায় যেসব শ্রমিক তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন তাঁদের আর্থিক সাহায্যও করেছে রাজ্যসরকার। কোভিড বিধি মেনে এই রেকর্ড সংখ্যক দম্পতির গণবিবাহ আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা