লাল ফলে মজেছে ভারতের মাটি
ভারতে হাজারো ফলের দেখা মেলে। কিন্তু এমনও কিছু ফল রয়েছে যার গায়ে এখনও লেগে আছে বিদেশি তকমা। ভারতের মাটি কিন্তু এমনই এক লাল ফলে মজেছে।
ভারতের নানা প্রান্তে নানা ধরনের আবহাওয়া। ফলে এখানে নানা ধরনের ফল পাওয়া যায়। তবে কিছু ফল এখনও বিদেশি ফলের তকমাতেই রয়ে গেছে। তেমনই তথাকথিত বিদেশি ফলেরও কিন্তু এখন ভারতে চাষ হচ্ছে। শুধু চাষই হচ্ছে না, তা ক্রমশ বাড়ছেও।
অনেক কৃষক তাঁদের পুরনো চাষ ছেড়ে এসব ফল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। চাষের অনুকূল আবহাওয়ার জন্যই অনেক বিদেশি ফলের চাষ করা সম্ভব ভারতে। আর সেই সম্ভাবনাকেই কাজে লাগাতে সরকারও উদ্যোগী হয়েছে।
নানা বিদেশি ফলের চাষ করার জন্য চাষিদের উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। চাষিরাও আয় বৃদ্ধির আশায় বহুদিন ধরে চাষ করে আসা ফসল ছেড়ে ঝুঁকছেন নতুন ফল চাষের দিকে। অথবা পুরনো চাষের পাশাপাশি নতুন ফলের চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
বিগত কিছু বছরে নতুন ফলের চাষ অনেকটাই বেড়েছে ভারতে। যার মধ্যে রয়েছে ড্রাগন ফুট, স্ট্রবেরির মত ফলগুলি। ড্রাগন ফ্রুটের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার জন্য ভারতের চাষিরাও শুরু করেছেন এর চাষ। তেমনই আরও একটি ফল হল স্ট্রবেরি।
সারা বিশ্বের মত ভারতেও এই ফলের চাহিদা বেড়ে চলেছে। আগে স্ট্রবেরি বিদেশ থেকে আমদানি করা হলেও পরে এদেশেই চাষ শুরু হয়। এখন স্ট্রবেরির চাষ বাড়ানোর জন্য উত্তরপ্রদেশের অনেক আখ চাষিও উদ্যোগী হয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের আমরোহা-মেরঠ সীমান্তের বাসিন্দা পেশায় আখ চাষি প্রহ্লাদ কুমার ও শিশুপাল স্ট্রবেরি চাষে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন চিনি মিলগুলিতে আখ সরবরাহ করার পর চাষিদের প্রাপ্য টাকা পেতে দেরি হয়। উল্টোদিকে স্ট্রবেরির চাষ অনেক বেশি লাভদায়ক ও প্রাপ্য টাকাও সঙ্গে সঙ্গেই হাতে পাওয়া যায়।
আখ চাষিরাই বেশি উৎসাহ দেখাচ্ছেন স্ট্রবেরি চাষে। তার কারণ ২টির ফলনের সময় আলাদা। ফলে চিরাচরিত আখ চাষ তাঁরা যেমন করছিলেন তেমনই করছেন। আবার ওই মাটিতেই স্ট্রবেরির চাষও করতে পারছেন তাঁরা। তাই প্রহ্লাদ ও শিশুপালের মত অনেক আখ চাষিই স্ট্রবেরি চাষের দিকে ঝুঁকছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা