সেপ্টেম্বরের পর ফের প্রায় ৯০ হাজারে সংক্রমণ, মৃত্যুতেও লাফ
সেপ্টেম্বরের পর ফের প্রায় ৯০ হাজার ছুঁল সংক্রমণ। যা অবশ্যই চিন্তার ভাঁজ পুরু করেছে। অন্যদিকে একদিনে মৃত্যুও লাফিয়ে পৌঁছে গেছে ৭০০-র ওপর।
নয়াদিল্লি : এপ্রিলের শুরুতেই দেশ করোনা সংক্রমণের লাফ দেখছে। প্রথম ৩ দিনেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। এপ্রিলের তৃতীয় দিনে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে দেশে প্রায় ৯০ হাজারের দরজায় পৌঁছল সংক্রমণ। এখন হুহু করে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ।
এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ৮৯ হাজার ১২৯ জন। গত সেপ্টেম্বরের পর এই জায়গায় একদিনে সংক্রমণ পৌঁছয়নি। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, ছত্তিসগড়, গুজরাট, কেরালা তো বটেই এখন কর্ণাটক, তামিলনাড়ু সহ অন্য রাজ্যেও বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকায় দেশে ক্রমশ অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
ফেব্রুয়ারিতেও যেখানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমতে কমতে ১ লক্ষের নিচে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেখানে বাড়তে বাড়তে তা এখন সাড়ে ৬ লক্ষ পার করেছে। এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় সামান্য কমেছে। ১০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬০৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এদিন ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৯২ হাজার ২৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রতি ২ দিনে ১ লক্ষ পার করছে সংক্রমিতের মোট সংখ্যা।
সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা এদিনও সংক্রমিতের চেয়ে অনেক কম হয়েছে। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে।
এদিন দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৬ লক্ষ পার করে গেছে। দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯০৯ জনে। একদিনে বেড়েছে ৪৪ হাজার ২১৩ জন। এদিকে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় অ্যাকটিভ রোগীর শতাংশের হারও ফের বেড়েছে। বেড়ে হয়েছে ৫.৩২ শতাংশ।
এপ্রিল শুরুই হয়েছে সাড়ে ৪০০ পার করা দৈনিক করোনায় মৃত্যু দিয়ে। গত একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু কিন্তু লাফ দিয়েছে। এদিন তা বেড়ে পৌঁছে গেছে ৭১৪ জনে। আগের দিন মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৬৯ জনের।
এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ১১০টি। মৃত্যুর হার কিন্তু নেমেছে। ১.৩৩ শতাংশ থেকে মৃত্যু হার নেমে হয়েছে ১.৩২ শতাংশ।
গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে একদিনে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। রাজ্যে গত দিন ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৪৮১ জনের। পঞ্জাবে ৫৭ জনের। কেরালা ও দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। উত্তরপ্রদেশে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছত্তিসগড়ে ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়।
করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করায় দৈনিক সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা দৈনিক সংক্রমিতের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪ হাজার ২০২ জন।
এর হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৪১ জন। সুস্থতার হার নেমে দাঁড়িয়েছে ৯৩.৩৬ শতাংশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা