৯৩ হাজারের ওপর সংক্রমণ, ৮১ শতাংশ কেবল ৮টি রাজ্যে
মধ্য সেপ্টেম্বরের পর ফের ৯৩ হাজার পার করল দেশে সংক্রমণ। এবার দিনে ১ লক্ষের ওপর সংক্রমণের প্রমাদ গুনছেন সকলে। গত দিনের তুলনায় মৃত্যু অবশ্য কমেছে।
নয়াদিল্লি : এপ্রিলের শুরুতেই দেশ করোনা সংক্রমণের লাফ দেখছে। প্রথম ৪ দিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। এপ্রিলের চতুর্থ দিনে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে দেশে ৯৩ হাজারের ওপর পৌঁছল সংক্রমণ। এখন হুহু করে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ।
এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ৯৩ হাজার ২৪৯ জন। মধ্য সেপ্টেম্বরের পর এই জায়গায় একদিনে সংক্রমণ পৌঁছয়নি। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, ছত্তিসগড়, গুজরাট, কেরালা, তামিলনাড়ু তো বটেই এখন কর্ণাটক, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্য রাজ্যেও বাড়ছে সংক্রমণ।
সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকায় দেশে ক্রমশ অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফেব্রুয়ারিতেও যেখানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমতে কমতে ১ লক্ষের নিচে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেখানে বাড়তে বাড়তে তা এখন সাড়ে ৭ লক্ষের দরজায় পৌঁছে গেছে। এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় ১ লক্ষের ওপর বেড়েছে। ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭১৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এদিন ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫০৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রতি ২ দিনে ১ লক্ষ পার করছে সংক্রমিতের মোট সংখ্যা।
সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা এদিনও সংক্রমিতের চেয়ে অনেক কম হয়েছে। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এদিন দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৭ লক্ষের দরজায় পৌঁছে গেছে। দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৯১ হাজার ৫৯৭ জনে। একদিনে বেড়েছে ৩২ হাজার ৬৮৮ জন।
এদিকে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় অ্যাকটিভ রোগীর শতাংশের হারও ফের বেড়েছে। বেড়ে হয়েছে ৫.৫৪ শতাংশ।
এপ্রিল শুরুই হয়েছে সাড়ে ৪০০ পার করা দৈনিক করোনায় মৃত্যু দিয়ে। গত দিন তা ৭০০-র ঘরে লাফ দিয়েছিল। এদিন তার চেয়ে কম হয়েছে একদিনে মৃত্যু। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৭১৪ জনের।
এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬২৩টি। মৃত্যুর হার রয়েছে ১.৩২ শতাংশে।
গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে একদিনে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। রাজ্যে গত দিন ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ২৭৭ জনের। পঞ্জাবে ৪৯ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছত্তিসগড়ে ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়।
করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করায় দৈনিক সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা দৈনিক সংক্রমিতের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬০ হাজার ৪৮ জন।
এর হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ২৯ হাজার ২৮৯ জন। সুস্থতার হার নেমে দাঁড়িয়েছে ৯৩.১৪ শতাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা