National

সোশ্যাল মিডিয়ায় সামান্য কমেন্টের এই পরিণতি কল্পনাতীত

সোশ্যাল মিডিয়ায় কত জন কত কিছুই তো লেখেন। তা অনেকে গায়ে মাখেন না। কেউ পাল্টা উত্তর দেন। কিন্তু একটি কমেন্ট যে এই পরিণতি ঘটাতে পারে তা কল্পনাতীত।

বাহরাইচ (উত্তরপ্রদেশ) : এই যুগের বেশিরভাগ মানুষই সোশ্যাল মাধ্যমে ভীষণভাবে জড়িয়ে পড়েছেন। সারাদিনের কাজের ফাঁকেও বন্ধুবান্ধব, পরিচিতদের ছবি বা পোস্টটিতে চোখ না বোলালে যেন শান্তি হয় না কারও। কে কি করছেন তার লাইভ আপডেট পাওয়ার জন্য সোশ্যাল মাধ্যমের কোনও বিকল্প হয়না। বর্তমান প্রজন্ম থেকে প্রবীণ মানুষ, সবাই নিজের মতামতও প্রকাশ করে থাকেন এই সোশ্যাল মাধ্যমে।

ফেসবুকের মাধ্যমে যেমন সহজেই মানুষের সাথে যোগাযোগ করা, নানান বিষয়ে আলাপচারিতা করা বা বিশেষ কোনও ইস্যুতে মন্তব্য করা যায়। তেমনই উড়িয়ে দেওয়া যায় না এর নেতিবাচক দিকটিও। প্রশংসা, উৎসাহদান করা যায় যেমন সোশ্যাল মাধ্যমে, তেমনই কোনও মানুষকে যা ইচ্ছে বলাও অতি সহজ এখানে।


আঙুলের সাহায্যে কয়েকটা অক্ষর টাইপ করে পোস্ট করে দিলেই সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে দৃশ্যমান হয়ে যায় মন্তব্যটি। যা এখন একটা প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমন ভালো মন্দ কমেন্ট ভরে থাকে ফেসবুকে। তা দেখেও অনেকে গায়ে মাখেন না। কেউ তার আবার পাল্টা কমেন্ট করেন। কমেন্ট বক্সে চলে বাকযুদ্ধ। এমনই এক নেতিবাচক কমেন্টের জেরে কিন্তু এবার এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে।


আশিস সিং নামে এক যুবক ফেসবুকে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। কমেন্ট বক্সে তার ৩ বন্ধু শিবেন্দ্র, দুর্গেশ ও জে পি যাদব সেই ছবি দেখে খারাপ মন্তব্য করেন। তাতে অসম্ভব ক্ষুব্ধ হয় ওই আশিস। কিছুদিন আগেই গেছে হোলি। ৩ বন্ধুকে হোলির দিন বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে আশিস। তারপর সেখানে তাঁদের ওপর সব রাগ উগড়ে দেয়।

ওই ৩ জন বাড়িতে ঢুকতেই আরও ২ বন্ধুর সহায়তায় ছুরি নিয়ে ৩ বন্ধুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আশিস। তারপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁদের কোপাতে শুরু করে। ছুরির ধারাল কোপে রক্তাক্ত হন ৩ জন। তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

পরে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। আশিস সিং পলাতক। তাকে খুঁজছে পুলিশ। বাকি ২ জন সহকারী বন্ধুকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button