করোনাকালেও কাজিরাঙায় পর্যটকদের সংখ্যায় চক্ষু চড়কগাছ
করোনা নিয়ে যখন একদিকে মানুষের মধ্যে থেকে ভয় দূর হচ্ছে না। তখন অন্যদিকে বহু মানুষ গত কয়েকমাসে বেড়াতে গিয়েছেন বহু জায়গায়। যারমধ্যে রয়েছে কাজিরাঙা।
অসমের কাজিরাঙা অভয়ারণ্যে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। গত বছর করোনা দাপট শুরুর পর কাজিরাঙার দরজা পর্যটকদের জন্য বন্ধ হয়েছিল। তা ফের খোলে গত বছরের ২১ অক্টোবর।
সেদিন থেকে ২১ এপ্রিল। এই সাকুল্যে ৬ মাসে করোনা কিছুটা কমেছে। আবার তা বেড়েছে। এসেছে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ।
অর্থাৎ করোনা যে চলে গিয়েছিল এমনটা নয়। কিন্তু তার মধ্যেও এই গত ৬ মাসে কাজিরাঙায় যে সংখ্যক পর্যটকের পা পড়েছে তা চোখ কপালে তোলার জন্য যথেষ্ট।
হিসেব বলছে গত ৬ মাসে কাজিরাঙায় ২ লক্ষ পর্যটক বেড়াতে গেছেন। বিদেশি বিমানে যথেষ্ট কড়াকড়ি থাকার পরও এই পর্যটকদের মধ্যে ছিলেন ৫৭০ জন বিদেশি নাগরিক। বাকিরা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হয়েছিলেন কাজিরাঙায় বেড়াতে। যা অবশ্যই অবাক করার।
সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক দিক থেকে দেখলে যথেষ্ট সদর্থক। কাজিরাঙাকে সামনে রেখে আশপাশের যে অর্থনীতি তৈরি হয়েছে তা চাঙ্গা করার জন্য এই সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ।
এখন দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। তাতে কার্যত বেসামাল গোটা দেশ। এরমধ্যেও কিন্তু পর্যটকদের ভিড় কিছুটা হলেও হবে বলেই মনে করছে কাজিরাঙা কর্তৃপক্ষ।
গণ্ডার ও বাঘ দেখার আকর্ষণে আরও কয়েক হাজার মানুষ বর্ষায় কাজিরাঙা সাধারণের জন্য বন্ধ হওয়ার আগেই এখানে ঘুরে যাবেন বলে মনে করছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা