গারদের পিছনেই মন ভাল করা উদ্যোগ নিলেন মহিলা বন্দিরা
কোনও না কোনও অপরাধে দণ্ডিত হয়ে তাঁরা জেলবন্দি। গারদের পিছনে অখণ্ড অবসর। এখানেই মন ভাল করা এক উদ্যোগ নিলেন মহিলা বন্দিরা।
জেলকে বলা হয় সংশোধনাগার। সেখানে বন্দির সংশোধন করা হয়। এমনই এক সংশোধনাগারের মহিলা বন্দিরা খুব একা হয়ে পড়েছেন। করোনার জন্য জয়পুর জুড়ে এখন কার্ফু।
ফলে সংশোধনাগারে প্রবেশে কড়াকড়ি করা হয়েছে। যার ধাক্কা সরাসরি এসে পড়েছে বন্দিদের ওপর। যাও বা সামান্য সময়ের জন্য পরিজনের দেখা মিলছিল, করোনার জন্য তাও বন্ধ হয়েছে।
এছাড়া নানা কাজ শেখানোর জন্য প্রশিক্ষক আসেন। সেই কাজে দিনের অনেকটা সময় ডুবে থাকতে পারেন তাঁরা। এখন তাও বন্ধ। অগত্যা নিজেদের মন ভাল করার উদ্যোগ নিজেরাই নিলেন মহিলা বন্দিরা।
জয়পুরের সংশোধারগারের মহিলা বন্দিরা এখন দিনের একটা সময় স্থির করেছেন গল্পের আসরের জন্য। যেখানে এক একজন তাঁদের জানা গল্প বলবেন। শুনবেন অন্যরা।
এই গল্প তাঁর জীবনের হতে পারে। হতে পারে সংশোধনাগারের লাইব্রেরি থেকে আনা কোনও বই থেকে নেওয়া। তবে প্রতিদিন এখন এই গল্পের নির্দিষ্ট সময়টুকু নিয়ে দারুণ উৎসাহে ফুটছেন বন্দিরা।
শুধু গল্প বলাই নয়, এখানে যে মহিলা বন্দিরা লিখতে পা পড়তে পারেননা, তাঁদের অক্ষরজ্ঞান করাচ্ছেন অন্যরা। এতে কাজও হচ্ছে।
এক মহিলা বন্দি নাকি খুব কম সময়েই হিন্দির অক্ষর চিনে পড়তে শুরু করেছেন। যা দেখে আপ্লুত রাজস্থানের কারা বিভাগের ডিআইজি মণিকা আগরওয়াল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা