সামান্য কারণে প্রেমিকের জীবন কাড়ল প্রেমিকা
সামান্য একটা কারণে যে তাঁকে প্রাণটি খোয়াতে হবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি ওই যুবক। কিন্তু বাস্তবে প্রেমিকার হাতেই প্রাণ গেল তাঁর।
কথায় বলে পারস্পরিক বিশ্বাস প্রেমের সম্পর্কের ভিত মজবুত করে। কিন্তু বাস্তবে সন্দেহের বীজ ভালবাসার সম্পর্কে গোপনে বিষবৃক্ষের রূপ নেয়।
যা একটি সম্পর্ককেই শুধু শেষ করে না, জীবনও শেষ করে। নাহলে হয়তো একটা সামান্য কারণে এক যুবককে এভাবে প্রাণ দিতে হত না।
পুলিশ জানাচ্ছে, রজনী নামে এক বছর ৩৫-এর মহিলার সঙ্গে ২৮ বছরের রাজেশের প্রেমের সম্পর্কের কথা অনেকেই জানতেন। গত ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত তাঁরা।
গত সোমবার বিকেলে রজনী যখন রাজেশের সঙ্গে দেখা করতে যায় তখন দেখে রাজেশ একটি ফোনে ব্যস্ত। রজনী জানতে পারে ওপারে রয়েছেন এক মহিলা।
এক মহিলার সঙ্গে রাজেশের এমন ফোনে কথাবলা মেনে নিতে পারেনি রজনী। ওই মহিলা কে তা জানতে চায় রাজেশের কাছে। কিন্তু রাজেশ বিস্তারিতভাবে ফোনের ওপারের মহিলা সম্বন্ধে কিছু বলতে চায়নি।
এতে ২ জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। তখনই রজনী রাগের মাথায় কাছে থাকা একটি ছুরি তুলে নেয়। তারপর রাজেশের গলা ওই ছুরি দিয়ে কেটে দেয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রাজেশ। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামেরই একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান গ্রামবাসীরা। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরিটি উদ্ধার করেছে। রজনীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করেছে রজনী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা