স্বস্তির বার্তা দিয়ে দেশে দৈনিক সংক্রমণ আরও কমল
ভারতে দৈনিক সংক্রমণ গত দিনের তুলনায় অনেকটা কমল। কিন্তু দৈনিক মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। অনেকদিন পর অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দেশে কমল।
দেশে করোনা সংক্রমণ এক ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। তবে বৈজ্ঞানিকরা বলছেন দেশ দ্বিতীয় করোনার ঢেউয়ের চূড়া স্পর্শ করে ফেলেছে। এবার হয়তো নামবে সংক্রমণ। তার একটা ছাপ গত ২ দিনে পাওয়া গেল।
গত একদিনে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এদিন দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৪২ জন। এদিন দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৯ লক্ষ ৯২ হাজার ৫১৭ জন।
এদিন ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার ১১০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দেশে। গত দিনের চেয়ে ৪ লক্ষ বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এদিন। এদিন নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে, কিন্তু কমেছে সংক্রমণ। যা সদর্থক বার্তা বহন করছে।
এদিকে দেশে গত একদিনে মৃত্যু গত দিনের তুলনায় বেড়েছে। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৬ জনের। দেশে এখন মোট মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৯২ জন।
মহারাষ্ট্রে এদিন মৃত্যু হয়েছে ৫৪৯ জনের। এছাড়া দিল্লিতে ৩১৯ জনের, ছত্তিসগড়ে ১৭২ জনের, উত্তরপ্রদেশে ২৭৮ জনের, কর্ণাটকে ৫৯৬ জনের, গুজরাটে ১১৭ জনের, রাজস্থানে ১৬০ জনের, পঞ্জাবে ১৯৮ জনের, উত্তরাখণ্ডে ১৬৮ জনের, তামিলনাড়ুতে ২৩২ জনের, হরিয়ানায় ১৬১ জনের ও পশ্চিমবঙ্গে ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুতে ২ অঙ্কে দাঁড়িয়ে দেশের অনেক রাজ্য। দেশে মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১.০৯ শতাংশ।
দেশে এদিন অ্যাকটিভ রোগীর দৈনিক বৃদ্ধি তো হয়ইনি, বরং দেশে অ্যাকটিভ রোগী এদিন দীর্ঘদিন পর কমল। ৩০ হাজার ১৬ জন অ্যাকটিভ রোগী কমেছে দেশে। দেশে এখন কমে ১৬.১৬ শতাংশ হয়েছে অ্যাকটিভ রোগী।
এদিকে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও এদিন নজর কেড়েছে। সংক্রমিতের চেয়ে এদিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বেশি মানুষ। গত একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮২ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২.৭৫ শতাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা