কাজ হারানো শ্রমিকের জীবন বদলে দিল করোনা
করোনার জেরে লকডাউন বহু মানুষের জীবিকা কেড়ে নিয়েছে। সেই তালিকায় ছিলেন এক শ্রমিকও। কিন্তু সেটাই তাঁর শাপে বর হল। রূপকথার মত বদলে গেল তাঁর জীবন।
এ কাহিনি যেন বাস্তব নয়, একটা সিনেমা। ফারুক আলমের জীবনের মোড় কিন্তু বাস্তবেই সিনেমার সেই রূপকথার মত। করোনা বহু মানুষের যখন সব কেড়ে নিয়েছে, তখন আলমের জীবনটাই মাত্র ১ বছরে বদলে গেছে।
উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের বাঙ্গরা সুগাউলি গ্রামের ছেলে ফারুক আলম কোথাও চাকরি না পেয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন দিল্লি। সেখানে একটি জামা তৈরির কারখানায় শ্রমিকের কাজও পান।
বেশ চলছিল জীবন। কিন্তু গত বছর লকডাউন ঘোষণার পর অনেক পরিযায়ী শ্রমিকের মতই আলম ফিরে আসেন তাঁর গ্রামে। আর শপথ করেন আর যাই করুন, গ্রাম ছেড়ে কোথাও আর কাজের জন্য পাড়ি দেবেন না।
লকডাউনে উপার্জন নেই। কিন্তু হাল ছাড়েননি আলম। তাঁর সঙ্গে কর্মরত অন্য কয়েকজন শ্রমিকও বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আলম।
তাঁদের প্রস্তাব দেন যে তিনি তাঁর গ্রামেই জামাকাপড় তৈরি করে কাছে পিঠে বেচা শুরু করবেন। অন্য শ্রমিকরাও তাঁর প্রস্তাবে রাজি হন। ৫টি মেশিন নিয়ে শুরু হয় রেডিমেড জামা ও প্যান্ট তৈরির কাজ।
ক্রমশ বাড়তে থাকে ব্যবসা। প্রথমে গ্রামের আশপাশেই বেচা শুরু করলেও ক্রমে বাড়তে থাকে ব্যবসা। অর্ডার বাড়তে থাকে। ফলে কারখানাও বড় করতে হয়।
এখন ফারুক আলম তাঁর নিজের গ্রামেই একটি বড় হল বানিয়ে সেখানে কারখানা করেছেন। ৩০টি মেশিন রয়েছে। সেখানে দিনরাত এক করে কাজ চলছে।
এছাড়াও জামাকাপড় তৈরির জন্য অন্য মেশিন রয়েছে তাঁর কারখানায়। ৩০ থেকে ৩৫ জন এখন তাঁর কারখানায় কাজ করেন। তাঁদের সংসার চলে এই কারখানা থেকে উপার্জনে।
মাত্র ১ বছরে বদলে যায় ফারুক আলমের জীবন। এখন তাঁর অর্ডার সামাল দিতে দম ফেলার ফুরসত নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা