দেশের ৫০ শতাংশ মানুষই মাস্ক পরছেন না, বলছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক
যেখানে করোনা ঠেকাতে অন্যতম উপায় মাস্ক পরা সেখানে এত প্রচার করেও দেশের ৫০ শতাংশ মানুষই মাস্ক পরেননা। এমনই জানাল দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ছারখার হয়ে যাচ্ছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে সরকার তো বটেই, বিভিন্ন সংগঠন, সংবাদমাধ্যম সব জায়গা থেকেই মানুষকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও নিয়মিত হাত ধোওয়া বা স্যানিটাইজ করার বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা চলছে।
আর তা আজ থেকে শুরু হয়নি। এই একই প্রচার চলছে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে। তারপরেও দেশের অর্ধেক মানুষকেই এ বিষয়ে সচেতন করা যায়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি সার্ভের ভিত্তিতে যে রিপোর্ট উঠে এসেছে তা রীতিমত দুশ্চিন্তার। মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষেরই মাস্কে অনীহা। তাঁরা মাস্ক পরছেন না।
সেখানেই শেষ নয়। বাকি যে ৫০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরছেন তাঁদের মাস্ক পরার ধরণ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে যাঁরা মাস্ক পরছেন তাঁদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ মানুষই নাক ঢাকছেন না। কেবল মুখ ঢাকছেন মাস্কে।
২০ শতাংশের থুতনিতে মাস্ক লাগানো থাকে। মুখ ও নাক খোলাই থাকে। ২ শতাংশ মানুষ তো ঘাড়ের কাছে মাস্ক রাখছেন।
তার মানে যা দাঁড়ায় তাতে দেশের সিংহভাগ মানুষই মাস্ক পরছেন না। কারণ ৫০ শতাংশ তো মাস্ক পরছেনই না। আর বাকি যে ৫০ শতাংশ পরছেন তাঁদেরও বড় অংশ সঠিকভাবে মাস্ক পরছেন না।
ফলে তা কার্যত না পরার শামিল হয়ে যাচ্ছে। মানুষের এই সচেতনতার অভাব কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতিকে ভয়ানক করে তুলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা