চাকরি গেছে অতিমারিতে, স্বামীর কাণ্ডে আতান্তরে নববিবাহিতা
অতিমারি বহু মানুষের চাকরি খেয়েছে। পরিবার চলবে কীভাবে তাই বুঝে উঠতে পারছেন না অনেক মানুষ। এই অবস্থায় চাকরি হারানো এক ব্যক্তি স্ত্রীর সঙ্গে এমন কাণ্ডও করতে পারলেন!
করোনা অতিমারির প্রথম ঢেউও চাকরি খেয়েছিল বহু মানুষের। দ্বিতীয় ঢেউও চাকরি শেষ করে দিয়েছে অনেকের। লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়ে রাতারাতি বেকার হয়ে গেছেন।
এমনই একজন বিবেক বর্মা। সবে বিয়ে করেছিলেন তিনি। না ঘটা করে বিয়ে হয়নি। বরং লুকিয়েই তাঁর ফেসবুক ফ্রেন্ড প্রগতি সিংকে বিয়ে করেন তিনি।
বিবেক একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। কর্মসূত্রে থাকতেন পুনেতে। প্রগতিকে বিয়ে করে পুনেতেই থাকতে শুরু করেন ২ জনে।
নতুন বিয়ে করে সংসার সবে গোছানো শুরু হয়েছিল। বিয়ে হয়েছে মাত্র কয়েক সপ্তাহ। তারমধ্যেই আসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর সেই দ্বিতীয় ঢেউতে একদিন বিবেক জানতে পারেন তাঁর চাকরি আর নেই।
এই অবস্থায় বিবেক ও প্রগতি স্থির করেন তাঁরা ফিরবেন বাড়িতে। ২ জনই বিহারের বালিয়া জেলার বাসিন্দা। বিবেকের বাড়ি মির্জাপুরে আর প্রগতির বাড়ি কুশিনগরে।
প্রগতিকে বিবেক জানান তাঁরা ২ জনে বিবেকের বাড়িতে যাবেন। পরিবারকে সব জানাবেন। সেইমত পুনে-পাটনা এক্সপ্রেসে চড়ে বসেন ২ জনে।
তাঁরা বক্সার পৌঁছন গত বৃহস্পতিবার। বক্সার স্টেশনে প্রগতিকে বসিয়ে বিবেক বার হন বালিয়া যাওয়ার গাড়ির বন্দোবস্ত করতে। প্রগতি স্টেশনেই অপেক্ষা করেন।
স্বামী গাড়ি আনলে শ্বশুরবাড়িতে প্রথমবারের জন্য যাবেন তিনি। কিন্তু সেই অপেক্ষা চলতেই থাকে। কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও বিবেক না ফেরায় প্রগতি ফোন করেন। ফোনে বিবেক জানিয়ে দেন তিনি আর কখনও বালিয়া ফিরবেন না।
পুলিশ প্রগতিকে উদ্ধার করে অবশেষে তাঁকে বাপের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। বিবেক কোথায় তা তাঁর ফোন ট্র্যাক করে বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা