দেশে আরও বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, কমেছে মৃত্যু
পরপর ২ দিন দেশে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল। এদিকে দেশে একদিনে মৃত্যু কিছুটা কমেছে। দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা এদিন অনেকটা কমেছে।
দেশে করোনা সংক্রমণের ভয়ংকর রূপ এখনও স্তিমিত হয়নি। তবে বৈজ্ঞানিকরা বলছেন দেশে দ্বিতীয় করোনার ঢেউয়ের চূড়া স্পর্শ করা হয়ে গেছে। এবার আস্তে আস্তে নামবে সংক্রমণ।
যদিও এদিন দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে। পরপর ২ দিন বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। ১৪ এপ্রিলের পর গত মঙ্গলবার ২ লক্ষের নিচে নামে দৈনিক সংক্রমণ। বুধবার তা ফের ২ লক্ষের ওপর চলে যায়।
এদিন তা আরও বাড়ল। এদিন দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা হয়েছে ২ লক্ষ ১১ হাজার ২৯৮ জন। এদিন দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯৩ জন।
এদিন ২১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৫৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দেশে। দেশে এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার কম হয়েছে।
এদিকে দেশে গত একদিনে মৃত্যু কমেছে। যুক্তিটা সেই একই। মহারাষ্ট্রে মৃত্যু বাড়লেই দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। আর কমলে কমছে।
দেশে এদিন মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৪৭ জনের। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ১৫ হাজার ২৩৫ জন। দেশে মৃত্যুর হার দাঁড়িয়ে আছে ১.১৫ শতাংশে।
এদিন মহারাষ্ট্রে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৯৯২ জনের। এছাড়া দিল্লিতে ১৩০ জনের, উত্তরপ্রদেশে ১৯৩ জনের, কর্ণাটকে ৫৩০ জনের, রাজস্থানে ১০৭ জনের, পঞ্জাবে ১৮৫ জনের, তামিলনাড়ুতে ৪৭৫ জনের, হরিয়ানায় ১০৬ জনের ও পশ্চিমবঙ্গে ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুতে ২ অঙ্কে দাঁড়িয়ে দেশের অনেক রাজ্য।
দেশে এদিনও অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে। দেশে অ্যাকটিভ রোগী এদিন কমেছে ৭৫ হাজার ৬৮৪ জন। দেশে এখন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ লক্ষ ১৯ হাজার ৯০৭ জন। দেশে এখন কমে ৮.৮৪ শতাংশ হয়েছে অ্যাকটিভ রোগীর হার।
এদিকে দেশে সংক্রমিতের চেয়ে এদিন সুস্থ হয়ে হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি। গত একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৩৫ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০.০১ শতাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা