বাতিল হয়ে গেল এ বছরের সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা
অবশেষে বাতিলই হল সিবিএসই পরীক্ষা। এ বছরের জন্য বাতিল করা হল পরীক্ষা। করোনা আবহের কথা মাথায় রেখেই এ বছরের জন্য এই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি যেমন ক্ষতি করেছে মানুষের রুটিরুজিতে, তেমনই থাবা বসিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে। তাদের পড়াশোনার স্বাভাবিক ছন্দ কার্যত তছনছ করে দিয়েছে করোনা। জীবনের বড় পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা।
এ বছরের জন্য যেমন বাতিল হয়ে গেল সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তাঁর মন্ত্রিসভা ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের উপস্থিতিতে হওয়া বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অন্যান্য বিষয় মূল্যায়ন করে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর রেজাল্ট আউট করা হবে বলেও জানিয়েছে পিএমও।
তাহলে কী এবার কেউই সিবিএসই পরীক্ষা দিতে পারবে না? সাধারণভাবে উত্তর না হলেও একটি রাস্তা খোলা থাকছে পরীক্ষা দেওয়ার।
যে সব ছাত্রছাত্রী এর পরেও পরীক্ষা দিতে চাইবে তাদের পরিস্থিতি পরীক্ষা নেওয়ার অনুকূল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তারপর তাদের পরীক্ষা গ্রহণ করবে বোর্ড।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, করোনা পরিস্থিতি অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার নষ্ট করে দিয়েছে। বোর্ডের পরীক্ষা কবে হবে, তা নিয়ে ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক সকলেই চিন্তিত। ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত তাদের অভিভাবক থেকে শিক্ষক সকলেই। এই পরিস্থিতি শেষ হওয়ার দরকার ছিল।
প্রধানমন্ত্রী এও বলেন যে এই অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের জোর করে পরীক্ষায় বসানো এমন এক মানসিক চাপের মুহুর্তে সঠিক হতনা।
প্রধানমন্ত্রী পাশাপাশি এটাও বলেন যে বেশকিছু রাজ্য এখন অবশ্য করোনা নিয়ন্ত্রণে ভাল পদক্ষেপ করছে। অনেক রাজ্যে লকডাউন চলছে। তাও ছাত্রছাত্রীদের এই অবস্থায় জোর করে পরীক্ষায় বসানো ঠিক হতনা।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এগুলির সঙ্গে কোনও আপস করার প্রশ্নই উঠছে না। এমন এক পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিতে গিয়ে দেশের যুব সমাজকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা যেত না।
এই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া তাঁর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বোর্ডের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা