বিয়ের আনন্দে মালাবদল ফেলে মহা বিপাকে কনে
বিয়ে বলে কথা। আনন্দ তো হবেই। আর সেই আনন্দ বহিঃপ্রকাশের ধরণ নানা রকম হয়। কিন্তু আইন বিরুদ্ধ হলে তার জের তো পোহাতেই হবে।
একে করোনা আবহে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের মাথার চুল খাড়া হওয়ার জোগাড় হয়েছে। করোনার জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক চরমে উঠেছে। কাকে যে কখন করোনা গ্রাস করবে তা বোঝা দায়।
অবশ্য পরিস্থিতি যাই হোক বিয়ে থেমে নেই। থেমে নেই বিয়ে ঘিরে আনন্দও। প্রশাসন সীমিত অতিথি নিয়ে বিয়েতে সম্মতি দিয়েছে।
এই অবস্থায় বিয়ের আনন্দে কনে যে এমন এক কাণ্ড ঘটাতে পারেন তা কেউ ভাবতে পারেননি। কনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের লক্ষ্মণ কা পুরওয়া গ্রামে বসেছিল বিয়ের আসর। সেখানেই বিয়ের আনন্দে মত্ত হয়ে কনে নিজেই হাতে তুলে নেন বন্দুক। তারপর ফুর্তি করতে শূন্যে গুলি চালান।
কনে বিয়ের আনন্দে গুলি চালাচ্ছেন, এই ভিডিও ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। গত রবিবার বিয়ের আসরে কনের সেই গুলি চালানোর দৃশ্য দেখে পুলিশ তাঁকে চিহ্নিত করে। তারপর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ।
ভিডিওতে দেখা গেছে কনে রূপা পাণ্ডে বর গিরিজা শঙ্কর পাণ্ডের সঙ্গে মালাবদল করার আগে আচমকাই তাঁর কাকার একটি লাইসেন্স থাকা বন্দুক হাতে তুলে নেন। তারপর তা শূন্যে তাক করে গুলি ছোঁড়েন।
উত্তরপ্রদেশে বিয়ের আসরে এই ধরনের গুলি চালানোর ঘটনা নতুন নয়। উৎসবের আনন্দে এর রেওয়াজ রয়েছে সেখানে। কিন্তু সাধারণত গুলি বর বা বরের বাড়ির লোকজন শূন্যে চালিয়ে থাকেন।
এমনকি অনেক সময় কনের পরিবারের লোকজনও আনন্দে গুলি ছুঁড়ে থাকেন। যার জন্য বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনাও ঘটে গেছে। মৃত্যুও হয়েছে এর ফলে। কিন্তু কনে নববধূর সাজে এসে নিজের বিয়েতেই আনন্দে গুলি চালানোর মত ঘটনা ঘটাচ্ছেন এমনটা বড় একটা দেখা যায়না।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে। পুলিশ রূপা পাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে।
কিন্তু যা আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে তা হল বিয়ের আসরে কনেকে সাধারণভাবে আনন্দে এতটা আত্মহারা হতে দেখা যায়না। কনের আনন্দ থাকে নিয়ন্ত্রিত।
অনেকে তো বলছেন বর যদি এমন ঘটনা ঘটাতেন তাহলেও বোঝা যেত, তা বলে বর দাঁড়িয়ে রইলেন আর নববধূ মালা বদল ফেলে আনন্দে শূন্যে গুলি ছুঁড়লেন! এটা হতবাক করার মত বিষয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা