২০ দিনে এক পরিবারের ৭ জনের করোনায় মৃত্যু, শোকে মৃত আরও ১
২০ দিনের মধ্যে একটি পরিবারের ৮ জন সদস্যের প্রাণ গেল। এঁদের মধ্যে ৭ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। সেই শোকের ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হল আরও ১ জনের।
করোনা বহু পরিবারে শ্মশানের নিস্তব্ধতা তৈরি করে দিয়েছে। পরিজনকে হারানোর শোক থেকে বহু পরিবারই এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। তছনছ হয়ে গেছে অনেক পরিবার। এমনই এক পরিবারের ৮ জন সদস্যের মৃত্যু হল মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে।
গত ২৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে-র মধ্যে এই ৮ জনের মৃত্যু হয়। এখন পরিবারের ১ ভাই বেঁচে আছেন। তিনিই এখন পরিবারের মাথা। শোকের আবহে ডুবে আছেন তিনি।
ওঙ্কার যাদব নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের করোনায় যেদিন মৃত্যু হয় সেদিন সকালে তাঁর সৎকার করে তিনি বাড়ি ফেরেন। মায়ের মৃত্যু শোক তো ছিলই। এসে দেখেন তাঁর ৩ করোনা আক্রান্ত ভাইয়ের পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।
সেই ৩ জনের মৃত্যু হয় সেদিনই বিকেলে। ফলে সকালে মায়ের সৎকারের পর বিকেলে তাঁর ৩ ভাইয়ের সৎকার করতে ফের যেতে হয় ওঙ্কার যাদবকে।
মাত্র ১ দিনই পরিবারের ৪ সদস্যকে হারানোর যন্ত্রণার মধ্যেই তখন করোনার সঙ্গে লড়াই করছিলেন তাঁর আরও ১ ভাই ও ২ বোন। তাঁদেরও এরপর এক এক করে মৃত্যু হয়।
এমন করে ৭ জনকে করোনা শেষ করে দেয়। একটি পরিবারের প্রায় সব সদস্যকেই মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে হারানোর শোক সহ্য করতে পারেননি ওঙ্কারের কাকিমা। শোক সহ্য করতে না পেরে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মৃত্যু হয় তাঁরও।
৭ জনের করোনায় ও একজনের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে। যে শোক থেকে ওঙ্কার যাদব এখনও বেরিয়ে আসতে পারেননি।
ওঙ্কার জানিয়েছেন পরিবারের সকলকেই তিনি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর অভিযোগ সেখানে না পাওয়া গিয়েছে অক্সিজেন, না পাওয়া গিয়েছে সঠিক চিকিৎসা।
ঘটনাটি ঘটেছে লখনউ শহর থেকে কিছুটা দূরে ইমালিয়া গ্রামে। গ্রামের সরপঞ্চ অভিযোগ করেছেন এমন ঘটনার পরেও একজন সরকারি আধিকারিক গ্রামে আসেননি। গ্রামে স্যানিটাইজেশনও করা হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা