National

থানাতেই বিয়ে হল প্রেমিক-প্রেমিকার, তত্ত্বাবধানে মহিলা পুলিশ

থানাতেই বিয়ে হল প্রেমিক-প্রেমিকার। তত্ত্বাবধানে রইলেন থানার পুলিশকর্মীরা। থানার সব পুলিশকর্মীই অবশ্য মহিলা ছিলেন। নিয়ম মেনেই চারহাত এক হল থানা চত্বরে।

পরিবারকে লুকিয়ে প্রেমপর্ব চলছিল চুটিয়েই। তারমধ্যেই করোনা থাবা বসায়। তবে তাতে তাঁদের প্রেম এতটুকু কমেনি। বরং করোনাকালে ২ জন ২ জনকে ছেড়ে আর থাকতেই রাজি ছিলেন না।

তাঁরা স্থির করেন যে তাঁরা বিয়ে করবেন। ২ জনই নিজের নিজের বাড়িতে তাঁদের ইচ্ছার কথা জানান। জানান তাঁদের প্রেমের কথা।


যা শুনে ২ পরিবারই স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তাদের এ বিয়েতে মত নেই। কিন্তু কেন নেই মত? পাল্টি ঘর যখন, তখন কোথায় আটকাচ্ছে?

তরুণ-তরুণীর এই প্রশ্নের উত্তর না দিলেও ২ পরিবারই জানিয়ে দেয় এভাবে প্রেম করে বিয়েতে তাদের আপত্তি রয়েছে।


করোনার জেরে বিহারে লকডাউন চলছে। পরিবারও কিছুতেই বিয়েতে রাজি হচ্ছেনা। অগত্যা ২ জনে স্থির করেন তাঁরা পুলিশের কাছে যাবেন।

বতেরি এলাকার বাসিন্দা স্নেহা কুমারী ও ভভুয়ার বাসিন্দা শুভম কুমার ভভুয়ার মহিলা থানায় হাজির হন। সেখানে তাঁদের বিয়ের ইচ্ছা ও পরিবারের আপত্তির কথা জানান। মহিলা পুলিশকর্মীরা সব শুনে তাঁদের আশ্বস্ত করে ২ পরিবারকেই ডেকে পাঠান।

২ পরিবারের লোকজনকে পুলিশকর্মীরাই বুঝিয়ে রাজি করান বিয়েতে। কিন্তু করোনার মধ্যে ২ পরিবারকে আর বিয়ের আয়োজন করার সুযোগ দেননি তাঁরা।

বরং কখন আবার বেঁকে বসে এই কথা মাথায় রেখে চারহাত দ্রুত এক করতে থানাতেই বিয়ের আয়োজন করেন পুলিশকর্মীরা। থানার মধ্যেই রয়েছে একটি মন্দির। সেই মন্দিরেই সব আয়োজন হয়।

তারপর শুভম ও স্নেহাকে ওই মন্দিরের দেবতার সামনে বিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা। এই বিয়ে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে করালেও ২ পরিবারের সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ২ পরিবারের তরফে সদস্যরা এসেছিলেন থানায়। সেখানে তাঁদের সামনে ও পুলিশের সামনে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

যখন তাঁরা কীভাবে বিয়ে করবেন সে চিন্তায় ডুবে যাচ্ছিলেন তখন পুলিশকে যে এভাবে তাঁরা পাশে পাবেন তা ভাবতে পারেননি শুভম ও স্নেহা। পুলিশের সাহায্যে আপ্লুত তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button