শ্যালকের বিয়েতে নেচে ফাঁপরে পড়লেন বিধায়ক
শ্যালকের বিয়ে বলে কথা! তাই সেই আনন্দের মুহুর্তে একটু নেচে ফেলেছিলেন জামাইবাবু। শ্যালকের বিয়েতে এই নাচের জেরে এবার মহা ফাঁপরে পড়লেন বিধায়ক।
শ্যালকের বিয়ের অনুষ্ঠান। বিয়ের দিন ধুমধামের কোনও খামতি ছিলনা। সকলেই আনন্দে মশগুল। চারিদিক আলোয় আলোয় ভরে গিয়েছে। তাক লাগিয়ে দেওয়া আয়োজন।
এর মধ্যেই শুরু হয় নাচ গান। বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ গান হয়েই থাকে। সেই সময় শ্যালকের বিয়ের আনন্দে জমিয়ে নেচে ওঠেন জামাইবাবু। যিনি কিনা আবার বিধায়কও।
বিধায়কের সেই নাচের ভিডিও ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। দ্রুত তা এলাকা তো বটেই, তাঁর এলাকার বাইরেও হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই মহা ফাঁপরে পড়লেন বিধায়ক।
বিধায়ক শৈলেন্দ্র যাদবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর পুলিশ স্টেশনে বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। অতিমারি আইন ভঙ্গের অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে এই এফআইআর। যার মূল কারণ লুকিয়ে আছে ওই ভিডিওতে।
পুলিশের দাবি, ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে সুরক্ষা প্রোটোকল মানা হয়নি। করোনা থেকে বাঁচতে ও সমাজকে বাঁচাতে সরকারের তরফে বেশ কিছু সুরক্ষা পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। বিয়ের মত অনুষ্ঠানে কী কী মানতে হবে তারও তালিকা রয়েছে।
সেইসব সুরক্ষা প্রোটোকল বিয়ের অনুষ্ঠানে মানা হয়নি বলেই অভিযোগ পুলিশের। শুধু ওই বিধায়ক বলেই নয়, পুলিশ জানিয়েছে ভিডিওতে যাঁদের দেখা গেছে তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকেই ভিডিও করেন তাঁর হাতে থাকা ফোনে। সেইসব ভিডিও সোশ্যাল সাইটে প্রকাশের প্রবণতাও নতুন নয়। তেমনই কিছু ভিডিও বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেউ তুলে সোশ্যাল সাইটে আপলোড করেছিলেন। এখন সেই ভিডিওই কাল হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকা ও ভিডিওতে দেখা যাওয়া সকলের জন্য।
শৈলেন্দ্র যাদব সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক। তাঁর স্ত্রী রেণু যাদবও গোরক্ষপুরের জেলা পঞ্চায়েত সদস্য। ফলে স্বামী-স্ত্রী ২ জনই প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
যদিও সমাজবাদী পার্টির একাংশ মনে করছে তাদের দলের বলেই বিধায়কের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখাচ্ছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার।
রাজ্যের মানুষের একাংশ আবার মনে করছেন যদি আইনভঙ্গ হয়ে থাকে এই করোনা পরিস্থিতিতে তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা