বিয়েবাড়িতে জোড়া বর, একজনকে মালা পরিয়ে অন্যকে বিয়ে করলেন কনে
বিয়েবাড়ির সব আনন্দ মুছে শুরু হল ধুন্ধুমার। কারণ কনে বিয়ে করতে আসা এক বরের গলায় মালা পরিয়ে ঘর করতে গেলেন অন্য বরের সঙ্গে।
বিয়ের দিন কনে পক্ষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে কখন বর আসবে। বর আসা নিয়ে একটা টানটান উত্তেজনা থাকে। কিন্তু একটা বিয়ের আসরে বর তো একজনই হয়। বাকিরা হয় বরযাত্রী অথবা কনেপক্ষ।
কিন্তু এই বিয়ে বাড়িতে বিয়ে করতে একসঙ্গে হাজির হন ২ বর। ২ জনই বর বেশে হাজির হন। যা দেখে মাথায় হাত পড়ে কনের বাড়ির।
তবু বিষয়টা নিয়ে কোনও জটিলতায় না গিয়ে বিয়ে শুরু হয় কনের বাড়ির তরফে স্থির করা বরের সঙ্গেই। কনেও কোনও কিছু না বলে পরিবারের কথা শুনে হাজির হন বিয়ের মণ্ডপে।
সেখানে মালাবদল হয়। বাড়ির স্থির করা বরের গলায় মালা পরিয়ে দেন কনে। সকলে ফুল ছিটিয়ে আশির্বাদও করেন। এই পর্যন্ত তবু সব ঠিক ছিল। কিন্তু তারপরই শুরু হয় অন্য নাটক।
কনে মালাবদল করেন বাড়ির স্থির করা বরের সঙ্গে। কিন্তু তারপর অপেক্ষারত অন্য বরকে সেখানেই বিয়ে করেন। বিয়ে সেরে সেখান থেকে বরের সঙ্গে তাঁর বাড়ির দিকেও পাড়ি দেন।
এদিকে যে বরের গলায় প্রথমে মালা দিয়েছিলেন কনে সেই বরপক্ষ তো রেগে আগুন। তাঁরা এই কাণ্ড দেখে হৈচৈ শুরু করে দেন। তাঁদের বক্তব্য এভাবে তাঁদের ঠকানো হয়েছে।
কনেপক্ষের তরফে তাঁদের ঠকানো হয়েছে। শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। মালাবদল হওয়া বরের পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করা হয়।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে হাজির হয়ে কনের বাবা ও কাকাকে আটক করে। শুরু করে জিজ্ঞাসাবাদ। এখানেই শেষ নয়। এরপর পুলিশ সেই বরের বাড়িতে হাজির হয় যাঁকে বিয়ে করে কনে তাঁর বাড়িতে ছিলেন তখন।
সেখানে গিয়ে সেই বরের পরিবারের কয়েকজনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইটা জেলার সিরন গ্রামে।
তবে গ্রেফতারির পর কি স্থির হল তা পুলিশ এখনও খোলসা করেনি। তদন্ত চলছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা