ঘূর্ণিঝড় যশ শুধু ক্ষতিই করেনি, অনেকের মুখে হাসিও ফুটিয়েছে
ঘূর্ণিঝড় যশ কার্যত তছনছ করে দিয়েছে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা। ক্ষতি হয়েছে ফসলের। তা সত্ত্বেও যশ কিছু মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে গেল।
অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশ গত মাসের শেষের দিকে আছড়ে পড়ে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে। ওড়িশা দিয়ে প্রবেশ করলেও যশের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ক্ষতি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনারও।
যা ক্ষতি হয়েছে তা সামলে উঠতে এখনও অনেক সময় লাগবে। বহু মানুষের ঘর ভেসে গেছে, হেক্টরের পর হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে গবাদি পশুর।
দিঘার মত পর্যটন ক্ষেত্র তছনছ হয়ে গেছে। তছনছ হয়েছে ওড়িশাও। এত খারাপের পরও যশ কিন্তু কিছু মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে গেল।
অবাক হওয়ার মত কথা হলেও এটাই হয়েছে। আসলে মে মাসের শেষ বা জুনের প্রথমেই ধান চাষের বীজ বপন করা হয়। ধান চাষে প্রচুর জলের প্রয়োজন হয়। আর বীজ বপনের সময় মাটিতে প্রচুর জল লাগে।
ফলে বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ যে যে রাজ্যে যশ-এর জেরে বৃষ্টি হয়েছে প্রচুর, সেখানকার ধান চাষিরা বেজায় খুশি। ঠিক এই সময়েই মাঠে জল লাগে তাঁদের। বীজ বপন হয় ধানের।
যশ-এর হাত ধরে প্রবল বৃষ্টি সেই প্রয়োজন মিটিয়ে দিয়েছে বলেই জানিয়েছেন কৃষকরা। ফলে তাঁদের খুশির শেষ নেই। যে জল সেচের মাধ্যমে এনে দিতে হয় তা প্রকৃতির এক চরম রোষ দিয়ে চলে যাওয়ায় খুশি তাঁরা।
যশ আছড়ে পড়ায় এই কৃষকদের এতটুকু ক্ষোভ নেই। বরং ঠিক এই সময়ে এমনই একটা বৃষ্টির জন্য তাঁরা অপেক্ষায় ছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা