শুধুমাত্র জল চুরি রুখতে একটা আস্ত থানা
থানায় থাকবেন বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ। তবে তাঁদের কাজ একটাই। যেভাবে হোক জল চুরি আটকানো। দেশে এমন এক অভিনব ভাবনার থানা এই প্রথম।
পুলিশের অন্যতম একটি কাজ চোর ধরা। এ নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারেনা। কিন্তু সেটাই একটা গোটা থানার কাজ হতে পারেনা। থানা থাকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য।
এতদিন মানুষের তেমনটাই জানা ছিল। তবে এবার সেই ধারণা বদলাতে চলেছে। কারণ দেশে এই প্রথম তৈরি হচ্ছে জল চুরি রুখতে থানা।
থানার কাজ হবে কেবলমাত্র জল যাতে চুরি না হয় তা দেখা। জল বলতে সেখান দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের জল। যে খালটি তৈরি করে জল সেখানে আনাই হয়েছিল সেচের কাজের জন্য।
অনেকদিন ধরেই এমন অভিযোগ সামনে আসছিল যে সেচের জন্য তৈরি ইন্দিরা গান্ধী ক্যানাল থেকে জল চুরি হচ্ছে। প্রভাবশালী কৃষকরা সেখান থেকে দেদার জল চুরি করছেন।
ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ কৃষকরা। তাঁরা সেচের জন্য পর্যাপ্ত জল আর পাচ্ছেন না। তার আগেই প্রতিপত্তিশালী কৃষকরা জল চুরি করে পালাচ্ছেন।
রাজস্থানে এমনিতেই জলের কদর ভীষণ। অবশ্যই জলের অপ্রতুলতাই তার কারণ। সেখানে জল চুরি অবশ্যই সরকারের জন্য চিন্তার।
তাই এই ইন্দিরা গান্ধী নহর থেকে দেদার জল চুরি রুখতে রাজস্থান সরকার একটি থানাই তৈরি ফেলেছে। থানার মাথায় থাকবেন সিআই।
সিআই ছাড়াও থানায় থাকবেন ৫ জন সাব-ইন্সপেক্টর, ৮ জন হেড কনস্টেবল ও ৪০ জন কনস্টেবল। রাজস্থানের হনুমানগড় জেলার এই এত সংখ্যক কর্মীর থানার কাজ কিন্তু একটাই। জল চুরি আটকানো। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা