National

চরম অর্থাভাব, চিড়িয়াখানার পশুদের দত্তক নেওয়ার অনুরোধ

করোনার জেরে তাদের চিড়িয়াখানার পশুদের দৈনিক খাবারের অর্থ জোগাড় করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে। তাই এবার পশুদের দত্তক নিতে অনুরোধ করল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

করোনার জেরে বেড়ানো লাটে উঠেছে। লাটে উঠেছে পর্যটন। ফলে অনেক পর্যটনস্থলেই মানুষ আসছেন না। যেমন বাগানের শহর হিসাবে পরিচিত বেঙ্গালুরুর বানেরঘাটা চিড়িয়াখানা।

৭৩২ হেক্টর জমির ওপর অবস্থিত এই চিড়িয়াখানায় ২ হাজার ৩৮৮টি পশুপাখি রয়েছে। ১০২ রকম পশুপাখি ছড়িয়ে আছে চিড়িয়াখানার খাঁচা, সাফারি পার্কে।


বেশি পুরনো নয়, ৫০ বছরের পুরনো এই চিড়িয়াখানা যে কোনও পর্যটকের কাছে এক অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু করোনা দেশে থাবা বসানোর পর থেকে ১ বছরের ওপর হয়ে গেছে এই চিড়িয়াখানায় মানুষের পা তেমন পড়ছে না।

ফলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের রোজগার কমতে কমতে এখন তলানিতে ঠেকেছে। যার জেরে এখন এমন পরিস্থিতি যে চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের খাওয়ানোর মত অর্থ জোগাড় করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে।


এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের দরবারে এবার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানার তরফে অনুরোধ করা হয়েছে কেউ পারলে এখানকার পশুদের দত্তক নিন।

আবার চাইলে ১ দিনের খাবারের খরচও দিতে পারেন। মোটামুটি খরচের একটা হিসাবও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তুলে ধরেছে।

এশিয়াটিক লায়নদের প্রতিটির একদিনের খাবার খরচ ৩ হাজার টাকা। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের প্রতিটির দৈনিক খাবার খরচ ১ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি লেপার্ডের দৈনিক খরচ ৫০০ টাকা।

এক একটি জিরাফের খাওয়ার খরচ দৈনিক ১ হাজার টাকা। একটি জেব্রার একদিনের খাবার খরচ ৭৫০ টাকা। জলহস্তীদের এক একটির খরচ ১ হাজার ২০০ টাকা।

আবার হায়েনাদের একটির খাবার খরচ দেড় হাজার টাকা। ভাল্লুকদের এক একটির খাবার খরচ একদিনে ৬০০ টাকা। সব মিলিয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তাদের যত পশুপাখি রয়েছে তাদের একদিনের খাবার যোগান দিতে খরচ পড়ে ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা।

তারা এও জানিয়েছে যে যাঁরা পশুদের দত্তক নেবেন বা তাদের খাবারের খরচ প্রদান করবেন তাঁরা ওই খরচের ওপর আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় আয়করে ছাড় পাবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button