বিহারেই প্রায় ৪ হাজার, দেশে একদিনে মৃত্যু ছাড়াল ৬ হাজার
২ হাজারের কাছে ঘুরপাক খাওয়া দৈনিক মৃত্যু এদিন লাফ দিল ৬ হাজারে। কেবল বিহারেই ৪ হাজারের দরজায় একদিনে মৃত্যু। বাড়ল দৈনিক সংক্রমণও।
বিহারের হাত ধরে দেশে এমন এক উচ্চতা এদিন দৈনিক মৃতের সংখ্যা ছুঁল যা আগে কখনও হয়নি। যা কার্যত হিমস্রোত বইয়ে দেওয়ার মত ঘটনা। ৬ হাজারের ওপর একদিনে মৃত্যু দেখল দেশ। যদিও তা খাতায় কলমে।
বিহারের পুরো মৃতের সংখ্যা অডিট হওয়ার পর তারা সংশোধিত যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা এদিন একদিনে মৃত্যু সংখ্যায় যোগ হয়ে গেছে। ফলে বিহারে একদিনে মৃত্যু দেখানো হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১ জন।
দেশে করোনা সংক্রমণের ভয়ংকর রূপ এখনও যে পুরোপুরি স্তিমিত হয়েছে এমনটা নয়। তবে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তার চূড়া স্পর্শ করে এখন নিম্নগামী। টানা নামতে থাকা দৈনিক সংক্রমণের সেই প্রবণতা মাঝে মধ্যে ধাক্কা খেলেও নিম্নগামী প্রবণতা স্পষ্ট।
যদিও দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যাটা ১ লক্ষের নিচে নেমেছে। তবে গত ২ দিনে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে। গত একদিনে দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা হয়েছে ৯৪ হাজার ৫২ জন। দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১২১ জন।
এদিন ২০ লক্ষ ৪ হাজার ৬৯০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দেশে। দেশে এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে দেশে গত একদিনে মৃত্যু বিহারের হাত ধরে অস্বাভাবিক উচ্চতা ছুঁয়েছে। বিহারের হাত ধরে এদিন মৃত্যু ৬ হাজারের ওপর পৌঁছয়।
খাতায় কলমে দেশে এদিন মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ১৪৮ জনের। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৭৬ জন। দেশে মৃত্যুর হার ১.২২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.২৩ শতাংশে।
বিহারের সংশোধিত সংখ্যা ধরে ৩ হাজার ৯৭১ জনের মৃত্যু ছাড়া এদিন মহারাষ্ট্রে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬৬১ জনের। এছাড়া কর্ণাটকে ১৯২ জনের, কেরালায় ১৫৬ জনের ও তামিলনাড়ুতে ৪০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের এই ৫টি রাজ্য ছাড়া বাকি রাজ্য দৈনিক মৃত্যু ২ বা ১ অঙ্কে দাঁড়িয়ে আছে।
দেশে এদিনও অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে। দেশে অ্যাকটিভ রোগী এদিন কমেছে ৬৩ হাজার ৪৬৩ জন। দেশে এখন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯৫২ জন। দেশে এখন কমে ৪ শতাংশ হয়েছে অ্যাকটিভ রোগীর হার।
এদিকে দেশে সংক্রমিতের চেয়ে এদিন সুস্থ হয়ে হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। গত একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৬৭ জন।
দেশে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৬৩ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪.৭৭ শতাংশ। — ভারত সরকারের দৈনিক আপডেটের সাহায্য নিয়ে লেখা