মন্দিরের দেবতার আধার কার্ড চেয়েছে সরকারি কেন্দ্র, দাবি পুরোহিতের
চাঞ্চল্যকর দাবি করে রীতিমত হুলস্থূল ফেলে দিলেন এক পুরোহিত। সরকারি মান্ডিতে তাঁর মন্দিরের দেবতার আধার কার্ড দেখতে চাওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন পুরোহিত।
দেবতার আধার কার্ড কোথায়? দেবতার আধার কার্ড না হলে মান্ডিতে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হবে না। আর তা না হলে সঙ্গে আনা গম বেচাও যাবেনা। এমনই নাকি তাঁকে সাফ জানিয়ে দেয় সরকারি শস্য সংগ্রহ কেন্দ্র।
মানুষের আধার কার্ড হতে পারে, কিন্তু দেবতার আধার কার্ড তিনি পাবেন কোথায়? প্রশ্ন তুলে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের মহা ফাঁপরে ফেলে দিয়েছেন রাম জানকী মন্দিরের মহন্ত রামকুমার দাস।
উত্তরপ্রদেশের বান্দা-র কুরহারা গ্রাম। এখানেই রয়েছে বহু পুরনো রাম জানকী মন্দির। মন্দিরের ৭ হেক্টর জমি রয়েছে এখানে। যে জমি মন্দিরের দেবতা রাম ও জানকী-র নামে রেজিস্টার করা আছে।
এতদিন ধরে এই জমিতে যা গম বা অন্য শস্য হত তা সরকারি মান্ডিতে বিক্রি করতেন মন্দিরের পুরোহিত তথা তত্ত্বাবধায়ক মহন্ত রামকুমার দাস।
এবার মন্দিরের জমিতে ১০০ কুইন্টাল গম উৎপাদন হয়েছে। সেই গম বেচতে তিনি সরকারি মান্ডিতে হাজির হন। মহন্তর দাবি, মান্ডিতে এত বছর ধরে তিনি বিক্রি করতে পারলেও এবার তাঁকে আটকানো হয়।
মহন্তকে জানানো হয়, যাঁর নামে জমি রেজিস্টার করা আছে তাঁর আধার কার্ড ছাড়া কোনও কিছু তিনি বিক্রি করতে পারবেননা।
জমি তো মন্দিরের দেবতা রাম ও জানকীর নামে। কিন্তু দেবতার আধার কার্ড তিনি পাবেন কোথায়? রামকুমার দাস এই প্রশ্ন নিয়ে হাজির হন মহকুমা শাসকের কাছে।
মহকুমা শাসকও জানান নিয়ম অনুযায়ী যাঁর নামে জমি তাঁর আধার কার্ড ছাড়া মান্ডিতে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হবে না। আর তা না হলে বিক্রিও করা যাবেনা।
মহকুমা শাসক আরও দাবি করেছেন যে দেবতার আধার কার্ড মহন্তর কাছে চাওয়া হয়নি। মহন্তকে শুধু নিয়মটা জানাতে বুঝিয়ে বলা হয়েছে।
সবকিছু জানার পর হতাশ মহন্ত মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন। মন্দিরের জমির উৎপাদন মান্ডিতে বেচে সেই অর্থে মন্দির তথা তাঁদের দিন চলে। এখন সেই টাকা আসবে কোথা থেকে?
মহন্ত রামকুমার দাস স্থির করেছেন নিরুপায় হলে তিনি যা দাম পাবেন সেই দামেই কমিশন এজেন্টদের কাছে বাধ্য হয়ে গম বেচে দেবেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা