পাত্রের নাম সমাজবাদ, পাত্রী মমতা ব্যানার্জী, বিয়ে ১৩ জুন
কথায় বলে নামে কী আসে যায়! কিন্তু কোনও বিয়েতে যদি পাত্রের নাম সমাজবাদ হয় আর পাত্রীর নাম মমতা ব্যানার্জী! তাহলে অবশ্যই তা গোটা দেশের কাছে চমকপ্রদ।
বাবা ছিলেন কট্টর সিপিআই। দলের বড় নেতা ছিলেন। গোটা পরিবারই সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই ছেলে যখন হল তখন তার নাম রেখেছিলেন সমাজবাদ।
আসলে বাবা কেজে মোহনের ৩ ছেলে। তাঁর অন্য ২ ছেলের নাম সাম্যবাদ ও লেনিনবাদ। তাঁদের বোনপোর নাম আবার মার্ক্সবাদ।
ছোটবেলা থেকেই তাই ৩ ভাই নামকরা। স্কুল থেকে শুরু এমন কেউ ছিলেন না যিনি সমাজবাদ, সাম্যবাদ ও লেনিনবাদকে চিনতেন না।
এতো গেল পাত্রের দিকের কথা। পাত্রীর নাম আবার মমতা ব্যানার্জী। এই মুহুর্তে রাজ্য রাজনীতি তো বটেই, এমনকি দেশের রাজনীতিতেও এই নামটার গুরুত্ব অপরিসীম।
পাত্রীর বাবা-মা আবার ছিলেন কংগ্রেস সমর্থক। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল তৈরির আগে তিনি ৯০-এর দশকেও ছিলেন কংগ্রেস নেত্রীই। তখনই তিনি প্রচারের আলোয় এসে পড়েছিলেন।
বাংলার রাজনীতিতে বামপন্থী বিরোধী মুখ হিসাবে মমতাই ক্রমশ সামনে চলে এসেছিলেন। পাত্রীর বাবা-মাও ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্ত। তাই সাধ করে মেয়ের নাম রেখেছিলেন মমতা ব্যানার্জী।
পাত্র বামপন্থী পরিবারের আর পাত্রী কংগ্রেস পরিবারের। তবে ২ পরিবারের এই বিশ্বাস বৈভিন্ন তাদের পারিবারিক সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারেনি। বরং ছেলে মেয়ে বড় হলে তাঁদের ২ জনের বিয়ের আয়োজন করল ২ পরিবার।
আগামী ১৩ জুন সমাজবাদের সঙ্গে মমতা ব্যানার্জীর বিয়ে হতে চলেছে তামিলনাড়ুর সালেমের আমানি কোণ্ডলমপট্টি এলাকায়। আগামী রবিবার চারহাত এক হতে চলেছে। যার সাক্ষী থাকতে চলেছেন সাম্যবাদ, লেনিনবাদ ও মার্ক্সবাদ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা