মোবাইল চোরদের সঙ্গে দাঁত কামড়ে লড়াই, মৃত্যু তরুণীর
মোবাইল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা রুখতে চরম সাহসিকতার পরিচয় দিলেন এক তরুণী। যদিও শেষ রক্ষা হল না। মর্মান্তিক মৃত্যু হল ২৭ বছরের সাহসিনীর।
রাত তখন ৮টা। মণিপুরের বাসিন্দা ২৭ বছরের তরুণী কানমিলা ও তাঁর বান্ধবী লালনগুরসাংগি একটি মল থেকে বার হন। সেখানেই একটি স্পা-তে কাজ করেন ২ জন।
কাজ শেষ করে ২ জনই বাড়ি ফেরার জন্য একটি অটোয় চেপে বসেন। কানমিলা গত ৩ মাস লকডাউনের কারণে মণিপুরে নিজের বাড়িতেই ছিলেন। তারপর এই স্পা-তে নতুন চাকরি পেয়ে এ সপ্তাহের প্রথমেই মুম্বই আসেন ৩ বোনের সঙ্গে।
তারপর থানের ভিভিয়ানা মলের ওই স্পা-তে কাজে যোগ দেন কানমিলা। গত বৃহস্পতিবার অটোয় চেপে বসার পর অটো এগোয় গন্তব্যে।
থানের তিন হাত নাকা জংশনের কাছে তাঁদের অটোর পাশে এসে পড়ে একটি বাইক। বাইকে ২ তরুণ সওয়ার ছিল। আচমকাই তারা হাত বাড়িয়ে অটোর মধ্যে বসা কানমিলার মোবাইল ফোনটি টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে।
অটো চলছে। পাশে বাইকও চলছে। মোবাইল টানতে গেলে মোবাইল চেপে ধরে তা যাতে ছিনতাই না করতে পারে তার লড়াই চালাতে থাকেন কানমিলা।
চলন্ত ২ যানের সওয়ারিদের মধ্যে টানা হেঁচড়া চলতে থাকে। কানমিলা সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করে নিজের মোবাইল বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকেন।
আর ঠিক সেই সময়ই টাল সামলাতে না পেরে চলন্ত অটো থেকে পড়ে যান তিনি। এই সুযোগে পালায় বাইক আরোহী ২ ছিনতাইবাজ।
কানমিলার বান্ধবী তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়।
সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় কানমিলার। পুলিশ কানমিলার বান্ধবীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ওই ২ ছিনতাইবাজকে ভিভান্ডি থেকে গ্রেফতার করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা