বয়স ৫০ হলেই গাছেরা পাবে অন্য সম্মান
মানুষের বয়স ৬০ পার হলে যেমন তিনি বরিষ্ঠ নাগরিক হিসাবে আলাদা সম্মান পান, তেমনই গাছের ৫০ বছর বয়স হলে তারাও পাবে এক আলাদা সম্মান।
দেশের সর্বত্র না হলেও দেশের একটি রাজ্য কিন্তু গাছকে অন্য সম্মান প্রদান করতে চলেছে। হয়তো তাদের দেখে অন্য রাজ্যগুলিও এগিয়ে আসতে পারে। তবে পথ দেখাল মহারাষ্ট্রই।
মহারাষ্ট্র সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শহরাঞ্চলে বেড়ে ওঠা যেসব গাছের বয়স ৫০ বছর হয়ে যাবে, সেই গাছগুলি পাবে হেরিটেজ সম্মান।
হেরিটেজ সম্মান এতদিন দেশের অনন্য ঐতিহ্যশালী স্থাপত্যদের প্রধানত দেওয়া হত। এবার সেই সম্মান পাবে গাছও। শুধু বয়স হতে হবে ৫০ বছর আর মহারাষ্ট্রের কোনও একটা শহরে তাদের বেড়ে উঠতে হবে। গ্রামগঞ্জ বা জঙ্গলের গাছরা আপাতত মহারাষ্ট্রেও এই সম্মান থেকে বঞ্চিতই থাকছে।
পরিবেশ দূষণ নিয়ে গোটা বিশ্ব চিন্তায়। পরিবেশ রক্ষায় আবার গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। স্কুল স্তরেও পড়ুয়াদের গাছের গুরুত্ব বোঝানো হচ্ছে। বৃক্ষরোপণে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি প্রজেক্টেও জায়গা পাচ্ছে বৃক্ষরোপণ ও গাছদের পরিচর্যা।
পরিবেশ দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি শহরাঞ্চলে। শহরাঞ্চলের এই দূষণকে শুষে নিতে পারে একমাত্র গাছ। তাই শহরে বেড়ে ওঠা গাছদের আলাদা যত্নের প্রয়োজন রয়েছে।
সেইসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষত বৃহৎ বৃক্ষে পরিণত হওয়া গাছদের রক্ষা করা আবশ্যিক। সেই লক্ষ্যেই আপাতত একধাপ এগোল মহারাষ্ট্র সরকার।
বৃক্ষ রক্ষায় যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য মহারাষ্ট্র সরকার একটি মহারাষ্ট্র ট্রি অথরিটি-ও গঠন করছে। যারা গাছ নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। শহরকে সবুজে ভরে দিতেও যা করার করবে তারা।
মুম্বইয়ের ফুসফুস বলে পরিচিত আরএ কলোনির সবুজ অরণ্যের ২ হাজার ১৪১টি গাছ মাত্র ৪০ ঘণ্টায় কেটে ফেলেছিল মুম্বই মেট্রো রেল কর্পোরেশন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে হওয়া সেই বৃক্ষনিধন নিয়ে প্রবল বিক্ষোভ হয়। পরে পিছু হঠে মেট্রো রেল।
সেই ঘটনার পর এবার বৃক্ষ সংরক্ষণে জোর দিতে মহারাষ্ট্র সরকার অনন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা