খামখেয়ালি প্রকৃতি, উপত্যকা জুড়ে অসময়ে শিলাবৃষ্টি
এই জুন মাসে শিলাবৃষ্টি! তাও পরপর! এমন অসময়ে শিলাবৃষ্টিতে মাথায় হাত পড়েছে ভূস্বর্গের পাহাড় ও উপত্যকার কৃষকদের। যা তাঁদের রুজিতে আঘাত হানছে।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বর্ষা প্রবেশ করতে শুরু করেছে। অনেক জায়গায় বর্ষার বৃষ্টি হচ্ছে, তো অনেক জায়গায় শুরু হয়েছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। এর মধ্যে প্রকৃতি তার খামখেয়ালিপনায় মেতে উঠেছে ভূস্বর্গ কাশ্মীরে।
কাশ্মীরের পাহাড়ের ঢাল হোক বা উপত্যকা। সেখানে এই সময়টায় চাষাবাদ যা করার করে নেন কৃষকরা। এরপর শীতের মরসুম আসবে। তখন শুধু বরফ আর বরফ। চাষাবাদ লাটে উঠবে। বছরের এই সময়টায় তাই ফসল বোনার কাজ করেন ব্যস্ত কৃষকরা।
সেই কৃষকরা এখন চরম বিরক্ত প্রকৃতির ওপর। সবে তাঁরা ভুট্টার বীজ বপন করেছেন। এই সময়ের আবহাওয়া এখানে ভুট্টা চাষের উপযুক্ত।
কিন্তু ভুট্টা বপনের সময় প্রচুর বৃষ্টি বা শিলাবৃষ্টি চাষের ব্যাপক ক্ষতি করে। এবার সেটাই হচ্ছে। একআধদিন নয়, পরপর ৪ দিন পাহাড়, উপত্যকা জুড়ে শিলাবৃষ্টি হয়েছে কাশ্মীরে। যা এই সময় হয়না।
অসময়ে শিলাবৃষ্টির এই খামখেয়ালিপনা কিন্তু কৃষকদের মাথায় হাত ফেলেছে। ভুট্টার বীজ এতে নষ্ট হয়ে যায় বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। এত কষ্ট করে বীজ বোনার পর এভাবে নষ্ট হওয়া তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না।
সবচেয়ে শোচনীয় পরিস্থিতি উধমপুর জেলার কৃষকদের। সেখানে প্রায় সব ফসলই নষ্ট হয়েছে এই শিলাবৃষ্টিতে। শীতের সময় বেঁচে থাকার জন্য এই সময় কৃষিকাজ করে থাকেন কাশ্মীরের কৃষকরা।
একবারই ফসল হয় বছরে। সেই ফসলও যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে শীতের সময় খাবেন কি? সংসার চলবে কীভাবে? আপাতত সেই চিন্তাই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাঁদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা