কালা নমক চালের ফলন বাড়িয়েও কুল পাচ্ছেন না কৃষকরা
কালা নমক চাল বা যাকে বাংলা করলে দাঁড়ায় কালো নুন চাল। এই চালের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে ফলন বাড়িয়েও চাহিদা মেটাতে হিমসিম খাচ্ছেন মানুষজন।
চাল বলতে সাদা চালের সঙ্গেই সকলে পরিচিত। কিন্তু এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবই বদলায়। এখন চালে নানা রং ধরেছে। পুষ্টিগুণও বেড়েছে।
বাদামি চাল, লাল চাল, কালো চাল নানা রংয়ের চালে এখন বাজার ছেয়েছে। দামও যথেষ্ট। এসব চালের বাহারি রং রয়েছে বলেই যে মানুষ কিনছেন তা কিন্তু নয়। এসব চালের পুষ্টিগুণও অনেক। ফলে মানুষের চাহিদা বাড়ছে।
সনাতনি সাদা চালের উৎপাদনের ধারে কাছেও অবশ্য এসব চালের উৎপাদন নয়। তবে উৎপাদন বাড়ছে। তেমনই একটি চাল কালা নমক চাল। রং কালো, কিন্তু পুষ্টিগুণ ভাল। ফলে মানুষের চাহিদাও বাড়ছে।
এই কালা নমক চালের গুণাগুণ কৃষক ও ক্রেতাদের মধ্যে বাড়াতে ৩ দিনের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে এই চালটি সম্বন্ধে বিস্তারিত জানান কৃষি বিজ্ঞানী থেকে সরকারি আধিকারিকরা। যার ফলও মিলেছে হাতেনাতে।
চালটি সম্বন্ধে আরও বেশি মানুষ জেনেছেন। তাঁরা এই চালটি কেনার বিষয়ে মনস্থিরও করেছেন। ফলে চাহিদা বেড়েছে। উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলায় এই চালটি সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়।
এতদিন অল্প পরিমাণে চাষ হত এই চালের। চালটির গুণাগুণ জানার পর এখন চাহিদা হুহু করে বাড়ছে। ফলে কৃষকরা হিমসিম খাচ্ছেন যোগান ঠিক রাখতে।
২০১৯ সালে প্রায় ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে এই কালা নমক চাল চাষ হত। ২০২০ সালে বেড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে এই চালের চাষ হয়। ২০২১ সালে প্রবল চাহিদার কথা মাথায় রেখে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে কালা নমক চাল চাষ হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা