বরের কারসাজি ধরে বিয়ের আসরে বাজিমাত করলেন কনে
বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে কার্যত বরের মিথ্যাকে সকলের সামনে প্রকাশ করে দিলেন কনে। এজন্য বিয়ের আসর পর্যন্ত অপেক্ষা করেন ওই তরুণী।
আলাপটা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া মারফত। তারপর সেখানেই ঘনিষ্ঠতা। তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়ে ফেলে ওই তরুণ।
তরুণী মুসলিম পরিবারের মেয়ে। তরুণীকে বিয়ে করতে মরিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই তরণ জানায় যে সেও মুসলিম পরিবারের ছেলে। কিন্তু বিয়ের আগে কোনওভাবে তরুণীর সন্দেহ হয় যে ওই তরুণ মুসলিম নয়।
এদিকে ততক্ষণে মেয়ের ইচ্ছা মেনে পরিবারের তরফে বিয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তাই তখনই কোনও পদক্ষেপ করেননি ওই তরুণী। তবে একটা ফন্দি আঁটেন মনে মনে।
বিয়ের দিন বর এসে হাজির হয় বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে। শুরু হয় বিবাহ পর্ব। মুসলিম রীতি মেনে বিয়ে শুরুর পর বেশ কিছু উর্দু শব্দ বরকে উচ্চারণ করতে হয়। সেই উর্দু উচ্চারণে এসেই হোঁচট খায় বর।
কিছুতেই সে ওই শব্দগুলি স্পষ্ট করে উচ্চারণ করতে পারছিল না। তখনই তরুণী তাকে চেপে ধরেন সত্যটা কী জানানোর জন্য। কনের পরিবারও বরের কাছে তার প্যান কার্ড দেখতে চায়।
প্যান কার্ডে নাম দেখেই পরিবার জেনে যায় বর মুসলিম নয়। কনে জানতেন যে বিয়ের সময় উর্দু বলতে গেলেই সব ফাঁস হবে ওই তরুণের। সেজন্যই অপেক্ষায় ছিলেন।
বিয়ের আগে বললে ওই তরুণ অস্বীকারও করতে পারত। তাই তাকে হাতে নাতে পাকড়াও করতেই চুপচাপ বিয়ের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন কনে।
মিথ্যা বলে বিয়ে করার চেষ্টার অভিযোগে কনের পরিবার ও গ্রামের লোকজন ওই তরুণ ও তার বন্ধুদের আটক করে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ ওই তরুণকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার কোলুই এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা