National

কয়লার উনুন নয়, গ্যাসও নয়, কামাল দেখাচ্ছে ম্যাজিক উনুন

সাধারণ উনুন এটা নয়। গ্যাসও নয়। কিন্তু এই উনুনেই বাঁচছে গাছ। বেঁচে যাচ্ছে মানুষের ফুসফুস। ফলে হুহু করে প্রসার বাড়ছে।

অরণ্যই হল পৃথিবীর ফুসফুস। অক্সিজেনের প্রাণকেন্দ্র। সেই অরণ্যের অনেক গাছের ডালপালা প্রতিদিন শেষ হয় জ্বালানির প্রয়োজনে।

গ্রামাঞ্চল থেকে বনাঞ্চলের আশপাশে গড়ে ওঠা বসতি এখনও এই গাছের ডালপালাকেই তাদের উনুনের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে। কিন্তু এভাবে কতদিন?


এভাবে ওই মানুষগুলিও বুঝতে পারেন শত শত গাছ শেষ হয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে অরণ্যের ভারসাম্য। আবার এভাবে আগুন জ্বালালে যে ধোঁয়া তৈরি হচ্ছে তা জন্ম দিচ্ছে ফুসফুসের নানা জটিল ব্যাধির। যা অনেককে মৃত্যু পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

মহিলারা যেহেতু রান্না করেন তাই তাঁরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। ছত্তিসগড়ের বীজাপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় গহন অরণ্যে বহু মানুষের বাস।


অনেক গ্রাম রয়েছে এখানে। এখানেও এভাবেই এতদিন আগুন জ্বালানো চলছিল। কিন্তু এখন সেখানে মানুষ এক ম্যাজিক উনুনের সন্ধান পেয়েছেন।

এ উনুন তৈরি করতে লাগে ইট, মাটি ও একটি লোহার পাইপ। যাকে বলা হয় ধোঁয়াহীন উনুন। এমনভাবে এখানে আগুন ধরানো হয় যাতে আগুন দীর্ঘস্থায়ী হয়। আর ধোঁয়া যেটুকু তৈরি হয় তা লোহার পাইপ বেয়ে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে যায়।

National News
পূর্ণাবয়ব পরিবেশবান্ধব উনুন, ছবি – আইএএনএস

এতে জ্বালানি হিসাবে গাছের প্রয়োজন কমেছে। ধোঁয়া ঘরে না হওয়ায় মানুষের ফুসফুসও বাঁচছে। ফলে এখানকার হাজার হাজার মহিলা পরিবারের জন্য বেছে নিয়েছেন এই উনুন।

প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাসের সুবিধা এখানে মাত্র ২৫ শতাংশই পৌঁছতে পেরেছে। ফলে এখানকার দূর দূর পর্যন্ত ঘন অরণ্যের আশপাশের হাজার হাজার পরিবারে এখন বাড়ছে এই উনুনের ব্যবহার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button