শ্মশানে দেহ দাহের পর সেই চিতাভস্ম যাবে পার্কে
হিন্দু রীতিতে শ্মশানে দেহ দাহ করা হয়। পড়ে থাকে ছাই। সেই ছাই সাধারণভাবে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তা না ভাসিয়ে অন্য কাজে ব্যবহার হতে চলেছে।
হিন্দুধর্মে কারও মৃত্যু হলে শ্মশানে দেহ দাহ করা হয়। এটাই সনাতনি রীতি। দেহ দাহ করার পর যে ভস্ম বা ছাই পড়ে থাকে তা শ্মশানের তরফ থেকে ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে। অথবা অনেকে পরিজনের সেই ছাই কলসে ভরে নিয়ে যান কোনও পুণ্যস্থানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর কাছে। সেখানেই নদীর জলে বিসর্জন দেওয়া হয় সেই ছাই।
মৃতদেহ সৎকারের পর চিতাভস্ম নদীর জলেই এতদিন ভাসিয়ে দেওয়া হত। এবার রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলার মোক্ষধাম শ্মশান কর্তৃপক্ষ এই ছাই আর নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার রাস্তায় যাবে না। তারা এর অন্য ব্যবহার করতে চলেছে।
মোক্ষধাম কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, গত ২ মাসে এই শ্মশানে ৫০০-র ওপর দেহ দাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে এমন অনেক দেহ দাহ করার পর সেই চিতাভস্ম মৃতের পরিবারের লোকজন নেননি।
ফলে এমন ৩০০ ব্যাগ চিতাভস্ম জমা হয়েছে শ্মশানে। শ্মশান কর্তৃপক্ষ এই ছাই নদীর জলে না ভাসিয়ে তা থেকে সার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মানুষের দেহ সৎকারের পর সেই চিতাভস্মকে যে অন্য কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে এই অভিনব ভাবনা ভেবে কিছুটা চমকে দিয়েছে শ্মশান কর্তৃপক্ষ।
তারা জানিয়েছে, সার তৈরি করতে এই চিতাভস্মের সঙ্গে গোবর মাখা হবে। তারপর তা শহরের বিভিন্ন পার্কে ছড়িয়ে দেওয়া হবে গাছের সার হিসাবে। কারণ মানুষের দাহ করা দেহের ছাই গাছের পক্ষে উপকারি। তার সঙ্গে গোবর মাখা হলে সেই সারের গুণ আরও বৃদ্ধি পায়।
এতদিন রাজস্থানের অন্যতম পরিচ্ছন্ন শ্মশান বলে পরিচিত মোক্ষধাম-এ দাহ হওয়া দেহের চিতাভস্ম ত্রিবেণী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হত।
শ্মশান কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে এতে নদীর জল দূষিত হত। তার চেয়ে মরদেহ পোড়ানোর পর সেই ছাই এবার অনেক বেশি কার্যকরিভাবে ব্যবহার করা যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা