রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অভিনব বৃক্ষরোপণ
করোনা থাবা বসানোর পর থেকে ইমিউনিটি শব্দটার সঙ্গে কমবেশি সকলেই পরিচিত হয়ে গেছেন। এবার বৃক্ষরোপণেও সেই শব্দ আলাদা গুরুত্ব পেল।
বৃক্ষরোপণ সারা দেশজুড়েই বছরভর চলে। সেই বৃক্ষরোপণ থেমে নেই করোনাকালেও। তবে বৃক্ষরোপণে এবার ঢুকে পড়ল ইমিউনিটি বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা।
করোনা থাবা বসানোর পর দেশের প্রায় সব মানুষই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোয় জোর দিয়েছেন। এবার বৃক্ষরোপণেও সেই বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব পেল। বলা ভাল কেবল এই দিকটিই এবার গুরুত্ব পেল উত্তরপ্রদেশ জুড়ে জুলাই মাসে শুরু হতে চলা বৃক্ষরোপণ উদ্যোগে। কেমন করে?
বৃক্ষরোপণের সময় গাছ বপন করা হয়। সবসময় তার ওষধি গুরুত্ব বা সে গাছের ফল কতটা শরীরের পক্ষে উপকারি তা দেখে বৃক্ষরোপণ করা হয়না।
এবার কিন্তু সেটাই হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশে। কয়েক লক্ষ গাছ পোঁতা হতে চলেছে। বেছে বেছে গাছের চারা বপন করা হতে চলেছে।
ওষধি গুণ সম্পন্ন গাছের চারার মধ্যে থাকছে অর্জুন, অমলতাস, নিম, কদম, অশোক, জবার মত গাছ। আবার ওষধি গুণও রয়েছে আবার স্বাস্থ্যকরও এমন ফলের গাছ, যেমন বেল, আমলকি, কালোজাম, বহেরা লাগানো হচ্ছে।
আবার নানা স্বাস্থ্যকর গাছও লাগানো হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে আতা, কাঁঠাল, পাতিলেবু, ডুমুর, মহুয়া, আম, তুঁতফল, পেয়ারা, তেঁতুল, বেদানা, তাল, পেঁপের মত গাছ। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারি।
এই মরসুমে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে সব মিলিয়ে এমন ৩০ কোটি গাছ লাগানোর লক্ষ্য স্থির করেছে সে রাজ্যের সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা