National

গুপ্তধনের লোভে গোপনে মন্দিরের গর্ভগৃহ খুঁড়ে ফেললেন পুরোহিত

গুপ্তধনের লোভে যে মন্দিরের তিনি প্রধান পুরোহিত, দল তৈরি করে সেই মন্দিরেরই গর্ভগৃহ লুকিয়ে খুঁড়ে ফেললেন তিনি। দলে নিলেন এক জ্যোতিষীকেও।

গ্রামের শতাব্দী প্রাচীন মন্দির। এ মন্দিরে বহু দূর দূর থেকে মানুষ ছুটে আসেন। ভক্তের ভিড় লেগে থাকে মন্দির চত্বরে। বিগ্রহ দর্শনে উপচে পড়ে ভিড়। সেই মন্দিরের প্রধান পুরোহিতই কিনা শেষ পর্যন্ত গুপ্তধনের লোভে গর্ভগৃহ খুঁড়ে ফেললেন!

যদিও ওখানে যে গুপ্তধন থাকতে পারে তা তাঁর মাথায় আসেনি। মাথায় আসে এক জ্যোতিষীর কথায়। যিনি মাঝেমধ্যেই মন্দিরে আসতেন।


জ্যোতিষী এমন এক সম্ভাবনার কথা বলার পর এবার তৈরি হতে থাকে দল। যে দলে এক কোঅপারেটিভ সোসাইটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরও শামিল হন।

সব মিলিয়ে ৭ জনের একটি দল তৈরি হয়। স্থির হয় গুপ্তধনের সন্ধানে রাতের অন্ধকারে খোঁড়া হবে মন্দিরের গর্ভগৃহ।


খোঁড়াখুঁড়ি হলে তো তা নজরে আসবেই। এখানে কাজে লাগে লকডাউন। কর্ণাটকে লকডাউন চলায় হাসান জেলার চাওদেশ্বরী মন্দির বন্ধ রয়েছে। কেবল পুরোহিতরা গিয়ে নিত্যপুজো করতে পারছেন।

মন্দির বন্ধ থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত শুক্রবার ও শনিবারের মধ্যবর্তী রাতে সকলের নজর এড়িয়ে শুরু হয় খনন। তার আগে অবশ্য এক বিশেষ হোম যজ্ঞ করেন ওই ৭ জন। তারপর খোঁড়া শুরু হয়।

মন্দিরের গর্ভগৃহে খোঁড়ার সময় হাজির ছিলেন পুরোহিত সহ ৭ জনই। মন্দিরের দেবতার সামনেই ১০ ফুট খুঁড়ে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে কিছুই পাওয়া যায়নি। ১০ ফুট খোঁড়ার পরও কিছুই না পেয়ে অবশেষে হাল ছাড়েন সকলে। কিন্তু ততক্ষণে প্রায় সকাল হয়ে এসেছে।

মন্দিরের অপর এক পুরোহিত ভোরে সেখানে এসে উপস্থিত হন। এভাবে মাটি খোঁড়া অবস্থায় দেখে তিনিই দ্রুত পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ৭ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁরা পুলিশের কাছে সব স্বীকারও করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button