জামাইবাবুর জায়গায় পুলিশের ডিউটি করলেন শ্যালক
কত কিছুই না ঘটে এ দেশে। জামাইবাবুর নাম করে আসলে শ্যালক ডিউটি করে গেলেন পুলিশে। তাও আবার পুলিশের পোশাকে, কোমরে সার্ভিস রিভলভার গুঁজে।
সন্দেহটা হয়েছিল। তাই ডেকে পাঠানো হয়েছিল ডায়াল ১১২ ইউনিটের পিআরবি বিভাগে কর্মরত পুলিশ আধিকারিক অনিল কুমারকে। তিনি হাজির হন এসএইচও-র সামনে।
পরনে পুলিশের পোশাক। বুকে লেখা অনিল কুমার। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। বাবার নাম, কোথায় থাকতেন, সব উত্তরই ঠিকঠিক দেন অনিল। এও জানান যে তিনি মুজফ্ফনগরের বাসিন্দা। বরেলি পুলিশ লাইন থেকে প্রশিক্ষণ নেন। ২০১১ সালে তিনি পুলিশ বিভাগে যোগ দেন।
কিন্তু তিনি যখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তখন বরেলির এসএসপি কে ছিলেন? এই প্রশ্নে এসেই থমকে যায় গরগর করে উত্তর দেওয়া। বেশ কিছুটা সময় আমতা আমতা করে বাথরুম যাচ্ছেন বলে পালান অনিল কুমার।
পুলিশ এরপর তদন্ত করতে গিয়ে যে পর্দাফাঁস হয় তা রীতিমত চমকে দেওয়ার মত। পুলিশ জানতে পারে অনিল কুমার ২০১৬ সাল থেকে মুজফ্ফরনগরের একটি গ্রামের স্কুলে শিক্ষকের কাজ করছেন। আর তাঁর জায়গায় তাঁর পুলিশের চাকরিটা করছেন তাঁর শ্যালক সুনীল কুমার। কিন্তু তাঁকে তো তাঁর সহকর্মীরা চেনেন। তাহলে এটা কীভাবে সম্ভব? এখানেই এক দারুণ ফন্দি আঁটেন অনিল কুমার।
২০১৬ সালে যখন অনিল কুমার শিক্ষকের চাকরির পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেন তখন তিনি যাতে পড়াতে পড়াতে বিএড ডিগ্রি পুরো করেন সেজন্য তাঁর পুলিশের চাকরিটা না ছেড়ে তা শ্যালককে করতে বলেন। তবে তাঁর নামে। যাতে কেউ চিনতে না পারেন সেজন্য বদলি নেন মোরাদাবাদে।
তারপর সেখানে প্রথম দিন কাজে যোগ দেন তাঁর নাম ভাঁড়িয়ে তাঁর শ্যালক সুনীল কুমার। কিন্তু পুলিশের রেকর্ডে থাকা ছবি অবশেষে অনিল-সুনীলের এই কারসাজি এত বছর পর হলেও ধরে ফেলল। ২ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা