৩৭০ মহিলাকে নোংরা ভিডিও কল, যুবকের হদিশ পেল মহিলা পুলিশ
একের পর এক মহিলাকে ভিডিও কল করে উত্যক্ত করেই যেত ওই যুবক। আবার পাল্টা ওই মহিলাদেরই ব্ল্যাকমেল করত। যার হদিশ বহু দিন পর পেল পুলিশ।
খুশি মত নম্বর ডায়াল করে প্রথমে সে দেখে নিত কার নামে নম্বরটি রয়েছে। যা ট্রুকলার থেকে পরিস্কার হয়ে যেত। আর মহিলা দেখলে তাঁর নম্বরে ভিডিও কল করত হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে।
মহিলা যখন ধরতেন ফোনটা তখন দেখতেন যে ওই যুবক পোশাকহীন অবস্থায় ভিডিওতে রয়েছে। ভিডিও কলে সে নানা নোংরা কথাও বলতে শুরু করত। যদি কোনও মহিলা রেগে ফোন কেটে দিতেন তাহলে ফের তাঁকে ফোন করে যেত ওই যুবক। ফোন করেই যেত।
এদিকে এই ভিডিও কল রেকর্ডও করে রাখত সে। মহিলারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশে খবর দেওয়ার ভয় দেখাতেন। তখন পাল্টা ওই ভিডিও মহিলার পরিবারের সামনে প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখাত সে।
ভয় দেখাত পোশাকহীন এক পুরুষের সঙ্গে দুপুরে এভাবে ভিডিও কলে কথা বলেছিলেন মহিলা তা সে ফাঁস করে দেবে। ফলে অনেক মহিলাই অভিযোগ করা থেকে পিছিয়ে আসতেন। বরং নিজের ফোন নম্বর বদলে নিতেন তাঁরা।
ওই যুবক যাতে ধরা না পড়ে যায় সেজন্য সে বারবার সিম বদল করতে থাকত। এমনকি মোবাইল সেটও বদলে ফেলত। এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ।
দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চালিয়ে যাচ্ছিল শিব কুমার বর্মা নামে ৩৫ বছরের ওই যুবক। উত্তরপ্রদেশের ১৫টি জেলা জুড়ে ৩৭০ জন মহিলাকে এমন ভিডিও কল করে উত্যক্ত করার পর বালিয়ার মহিলা পুলিশ লাইনের একটি দল শিব কুমারের সন্ধান পায়। তাকে গারওয়ার এলাকায় তার মনিহারি দোকান থেকে গ্রেফতার করে।
তবে শিব কুমারকে খুঁজে পেতে পুলিশের অনেক সময় লেগেছে। কারণ তার এই কাণ্ড নিয়ে প্রথম অভিযোগ জমা পড়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তখন এক মহিলা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর আরও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। অবশেষে শিব কুমারের নাগাল পেল পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা