ভূত তাড়ানোর নামে মহিলাদের বেঁধে মারছে, ফোন পেল পুলিশ
ভূত তাড়ানোর নামে নাকি মহিলাদের বেঁধে মারধর করা হচ্ছে। উপড়ে নেওয়া হচ্ছে চুল। এমনই এক ফোন পেয়ে দ্রুত ছুটল পুলিশ।
বেজে চলেছে ড্রাম। বেশ কয়েকজন মহিলা সেখানে দাঁড়িয়ে। তাঁদের হাত ও পা দড়ি দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা। কয়েকজন ওই মহিলাদের ওপর ক্রমাগত মোটা এক ধরনের দড়ি দিয়ে প্রহার করে চলেছে। এমনই একটা ফোন আসে পুলিশের কাছে। ফোনটা পেয়ে পুলিশ আর দেরি করেনি। দ্রুত ছোটে ফোনে বলা জায়গায়।
সেখানে পৌঁছে পুলিশে দেখে অবস্থা আরও ভয়াবহ। মহিলাদের প্রবল মারধর করা হয়েছে। ভূত তাড়ানোর নামে চলছে মহিলাদের ওপর এই অমানুষিক অত্যাচার। তাঁদের চুল পর্যন্ত মুঠো করে উপড়ে নেওয়া হয়েছে মাথা থেকে।
যারা একাজ করেছে তাদের যুক্তি ভূত তাড়াতে ওই মহিলাদের চুল দরকার ছিল। তবেই তাঁদের মধ্যে থেকে ভূত ভাগানো সম্ভব হবে।
ঘটনাটি ঘটেছে এ দেশে অন্যতম প্রধান তীর্থক্ষেত্র প্রয়াগরাজের সঙ্গমে। ৩ নদীর সঙ্গমে যেখানে কুম্ভমেলার সময় কোটি কোটি মানুষের ভিড় জমে সেই স্থানকেই এই ভূত তাড়ানোর জায়গা হিসাবে বেছে নেয় ৩০ জন ওঝা। তারপর মহিলাদের ভূতে ধরেছে বলে আনা হয় তাদের সামনে।
এরপর তারা তাঁদের বেঁধে ফেলে শুরু করে অত্যাচার। এমন অন্ধ বিশ্বাসের হাত ধরে ওই মহিলারা চরম লাঞ্ছনা ও অত্যাচারের শিকার হন।
পুলিশ ওই ৩০ জন ওঝাকেই গ্রেফতার করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। অন্য কারও মদত এর পিছনে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা