চড়াচ্ছিলেন মোষ, নদীতে টেনে নিয়ে গেল কুমির
নিশ্চিন্তে মাঠে মোষ চড়াচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। প্রতিদিনই করেন। এদিন যে এমনটা ঘটবে তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। বুঝতে পারেননি তক্কে তক্কে আছে মূর্তিমান বিভীষিকা।
মাঠে মোষ চড়াতে তাঁকে যেতেই হয়। মোষ চড়াচ্ছিলেন যেখানে তার একটু দূরেই নদী। নদীর সেই অংশে যে কুমিরের এতটা উপদ্রব তা বোধহয় তাঁর জানা ছিলনা।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, জামিল নামে ওই ব্যক্তি নদীর দিকে একটু এগিয়ে গিয়েছিলেন তেষ্টায়। চেয়েছিলেন নদী থেকে একটু জল পান করে তেষ্টা মেটাবেন। কিন্তু নদীর দিকে এগোতেই বুঝলেন কত বড় সর্বনাশ করে ফেলেছেন তিনি।
ক্ষুধার্ত একটি অতিকায় কুমির জল থেকে সোজা উঠে আসে তাঁর দিকে। তারপর ধরে ফেলে তাঁকে। সময় নষ্ট না করে ডাঙা থেকে খুব দ্রুত জামিলকে টেনে নদীতে নিয়ে যায় কুমিরটি।
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি-তে রয়েছে দুধওয়া অভয়ারণ্য। তারই কাছে ঘটে ঘটনাটি। এখানে পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সরযূ নদী। সরযূ নদীর সব জায়গায় কুমির না থাকলেও এই জায়গায় জলে কুমিরদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাদের একজনের ক্ষুধার্ত উদরে চলে যায় জামিলের অর্ধেকের বেশি দেহ।
৩ ঘণ্টা ধরে তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর অবশেষে জামিলের সেই সিংহভাগ খাওয়া দেহ উদ্ধার হয়। তাও যেখানে তাঁকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে দেহাংশ পাওয়া যায়নি। তা পাওয়া যায় সেখান থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে নিবিয়া ঘাটের কাছে। তার আগে ২টি নৌকা নিয়ে তল্লাশি চলে জামিলের দেহের।
এদিকে ঘটনার পরই স্থানীয় মানুষজন সেখানে জড়ো হয়ে জামিলের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। বন দফতর জানিয়েছে ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্তের পর যদি দেখা যায় যে তাঁর মৃত্যু জন্তুর কারণে হয়েছে তাহলে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখা হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা