বাক্স খুলতেই তুলোয় মোড়া ১০৭টি মাকড়সা, পত্রপাঠ ফেরত
বাক্সটা দেখে সন্দেহ হয়েছিল বলেই খোলা হয় সেটি। আর তা খুলতেই তার থেকে বেরিয়ে আসে যত্ন করে বন্দি ১০৭টি মাকড়সা।
ডাক যোগেই এসেছিল পার্সেলটা। বিদেশ থেকে এসেছিল। বিমানবন্দরে পার্সেলটি দেখে কিছুটা সন্দেহ হয় সুরক্ষাকর্মীদের। পার্সেল খোলা হয়। খুলতেই তাজ্জব সকলে। পার্সেলের মধ্যে অতি যত্নে রাখা রয়েছে ১০৭টি প্লাস্টিক ভায়াল। যার মধ্যে সযত্নে রাখা হয়েছে ১০৭টি মাকড়সা।
ছোট আকারের মাকড়সা। তাই এক একটি ভায়ালে একটি করে রাখা গেছে। ভায়ালগুলি মোড়া তুলে দিয়ে। যাতে কোনও ক্ষতি না হয়।
ভায়াল খুলতে দেখা যায় প্রতি মাকড়সাই জীবিত। অদ্ভুত তার রোমশ চেহারার রংবাহার। কোন প্রজাতির মাকড়সা এগুলি? জানতে ডেকে পাঠানো হয় বিশেষজ্ঞদের।
তাঁরা পরীক্ষা করে জানান এগুলি আন্তর্জাতিকভাবে বিরল প্রজাতির মাকড়সার তালিকাভুক্ত। এগুলি ট্যারান্টুলা গোষ্ঠীভুক্ত। পাওয়া যায় দক্ষিণ ও মধ্যে আমেরিকা ও মেক্সিকোতে।
কিন্তু পার্সেলটি এসেছিল পোল্যান্ড থেকে। আর তা পাঠানো হয়েছিল তামিলনাড়ুর আরুপুকোতাই এলাকায় এক ব্যক্তিকে। সেই ব্যক্তিকে খুঁজে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।
চেন্নাই বিমানবন্দরে এগুলি এসে পৌঁছেছিল। চেন্নাই এয়ার কাস্টমসের তরফে জানানো হয়েছে মাকড়সাগুলি আনা হয়েছিল এগুলি আনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ ছাড়াই। ফলে বেআইনিভাবে এটি চেন্নাই বিমানবন্দরে নামে।
সেকথা মাথায় রেখে এটি যে ঠিকানা থেকে এসেছিল পোল্যান্ডের সেই ঠিকানার ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিমানবন্দর থেকেই তা ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু কি কারণে তা আনানো হয়েছিল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা