বাংলায় খুনের অভিযোগ, এক বছর কিছুই করল না পুলিশ
বোনকে খুন করেছে তাঁর স্বামী। দাদা এই অভিযোগ পুলিশ স্টেশনে জমা করলেও তার তদন্ত এগোল না। পুলিশের দাবি, বাংলায় অভিযোগপত্র হওয়ায় তারা বুঝতে পারেনি।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা মহম্মদ তাজ মণ্ডলের বোন জসমিনারা খাতুনের সঙ্গে বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয়েছিল ফরিদ হুসেনের। ফরিদ বিয়ের কিছুদিন পর জাসমিনারাকে নিয়ে গুরুগ্রাম চয়ে যায়।
সেখানে পৌঁছে জসমিনারা জানতে পারেন ফরিদ আগে থেকেই বিবাহিত। তার প্রথম স্ত্রী রয়েছেন। এই নিয়ে ফরিদের সঙ্গে জসমিনারার অশান্তি শুরু হয়।
ফরিদ জসমিনারাকে নানাভাবে অত্যাচার করতে থাকে। ৩ লক্ষ টাকাও চায়। জসমিনারার দাদা তাজ মণ্ডলের দাবি, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদ তাঁর বোন জসমিনারাকে হত্যা করে। এতে হাত ছিল আরও ৩ জনের।
বোনকে তাঁর স্বামী ফরিদ ও তার ৩ সঙ্গী হত্যা করেছে বলে দাবি করে গুরুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জসমিনারার দাদা মহম্মদ তাজ মণ্ডল। সেই অভিযোগ তিনি বাংলাভাষায় লেখেন। গুরুগ্রাম পুলিশের দাবি সেখানেই সমস্যা। তারা বাংলা পড়তে না পারায় তদন্ত এগোতে পারেনি।
এদিকে পুলিশ ১ বছরের ওপর তদন্ত এগোয়নি জেনে তাজ মণ্ডল মালদা জেলা আদালতে অভিযোগ নিয়ে হাজির হন। জেলা আদালত সব শোনার পর গুরুগ্রাম পুলিশকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেয়। তখনই পুলিশ আদালতকে জানায় তারা তদন্ত এগোতেই পারেনি কারণ তারা বাংলা বুঝতে পারেনি।
আদালতের হস্তক্ষেপে অবশ্য পুলিশ এবার তদন্ত শুরু করেছে। তবে ইতিমধ্যেই ঘটনা ঘটার পর প্রায় দেড় বছর কেটে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা